প্রতিবেশী হিসেবে সবচেয়ে গুরুত্ব পায় বাংলাদেশ: ভারতের নতুন দূত


FE Team | Published: November 30, 2022 17:35:15 | Updated: November 30, 2022 19:10:41


ভারতের নবনিযুক্ত হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।ছবি: পিআইডি

ভারত যে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশকেই ‘সবথেকে বেশি’ গুরুত্ব দেয়, দেশটির নতুন হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মাও সে কথা বললেন।

বুধবার সকালে গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন ভারতের নতুন দূত। পরে প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন আলোচনার বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের জানান।

তিনি বলেন, “প্রণয় ভার্মা সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, প্রতিবেশীদের নিয়ে ভারতের একটা নীতি রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ হচ্ছে সবচেয়ে বেশি প্রায়োরিটি। যে কোনো কিছুতে বাংলাদেশের প্রায়োরিটি বেশি।”

ভবিষ্যতে দুদেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে আশা প্রকাশ করে প্রণয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশ ভারত সব সময়ই ‘ভালো বন্ধু’। সামনে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ‘আরও জোরদার’ হবে।

প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব জানান, অঞ্চলিক শান্তি বজায় রাখতে এবং সন্ত্রাসবাদ দমনে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করে যাওয়ার বিষয় নিয়ে কথা বলেন হাই কমিশনার।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার কখনোই সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেয়নি। বাংলাদেশের মাটি কখনোই সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার হবে না।

“বাংলাদেশ কখনোই সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেয় না। সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম নাই। তাদের কোনো সীমারেখাও নাই।”

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দলমত নির্বিশেষে ভারতের মানুষ যেভাবে বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়েছে, তা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “অনেক অমীমাংসিত বিষয় আছে যেগুলো আমাদের আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। তিস্তাসহ অন্যান্য যে অমীমাংসিত বিষয় আছে সেগুলো আমরা আলোচনা করেই সমাধান করতে পারি।”

শাখাওয়াত মুন বলেন, “বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে শেখ হাসিনার ভিশনারি লিডারশিপের প্রশংসা করেন ভারতীয় হাই কমিশনার।দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং জনগণের সঙ্গে যোগাযোগের ওপর জোর দেন তিনি।”

প্রনয় ভার্মা বলেন, ভারত বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে বাংলাদেশকে সমর্থন করবে এবং এই বিষয়ে নেপাল-ভুটানের সঙ্গেও কাজ করবে। বাংলাদেশ-ভারত সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (সিইপিএ) নিয়েও আলোচনা হয় সাক্ষাতে।

বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “এখানে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ভালো সুযোগ আছে। আমরা ১০০ ইকোনোমিক জোন করছি। ভারত সেখানে বিনিয়োগ করতে পারে।”

চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য যে সুযোগ ও সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে, তাও বৈঠকে তুলে ধরেন সরকার প্রধান।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে ভারতীয় হাই কমিশনার বলেন, “বঙ্গবন্ধুর যে রাজনৈতিক দর্শন ছিল সেটা সত্যিই অনুসরণীয়।”

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, “আমার বাবা জনগণের জন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছেন। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমিও জনগণের জন্য রাজনীতি করি।”

হাই কমিশনার ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পৌঁছে দেন। তার মাধ্যমে ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী।

অ্যাম্ব্যাসাডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস এ সময় উপস্থিত ছিলেন। à¦–বর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

Share if you like