বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে ১০ দেশের সঙ্গে চুক্তি চাইছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
মঙ্গলবার ইউনিটের প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস হলফনামার মাধ্যমে একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন হাই কোর্টে দাখিল করেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
এই দেশগুলো হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, হংকং-চায়না।
এই দেশগুলোর সঙ্গে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্টেন্স বা এমএলএ চুক্তির কথা বলা হয় হলফনামায়।
কোন কোন দেশের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে-তা জানাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বিএফআইইউকে অনুরোধ করে। পরে বিএফআইইউ এই দেশগুলোর সঙ্গে চুক্তির যৌক্তিকতা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে জানায়।
এর মধ্য দিয়ে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে এই দেশগুলোতে অর্থ পাচার হতে পারে।
পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা সম্পর্কিত মামলার তথ্য-প্রমাণ বিদেশি রাষ্ট্র হতে যথাসময়ে না পাওয়ার প্রেক্ষাপটে এই অনুরোধ এসেছিল বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ থেকে কী পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে, তার কোনো সুনির্দিষ্ট অঙ্ক জানা যাচ্ছে না। তবে গত বাজেটে পাচার হওয়া অর্থ ফেরতে সরকারের বিশেষ সুবিধা দেওয়া অর্থ পাচার হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
সুইস ব্যাংকসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে প্রস্তুতকৃত কৌশলপত্র/প্রতিবেদন নিয়ে গত ৩০ অগাস্ট অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় সমন্বয় কমিটির সভায় আলোচনা হয়, যা পরের সভায় অনুমোদন পাবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।
পরবর্তী প্রতিবেদন দিতে তিন মাস সময় চাওয়া হয় হাই কোর্টের কাছে।
অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলা হয়, হাই কোর্টের আদেশ অনুসারে বিদেশে অর্থ পাচারের সাথে জড়িত ব্যক্তিদেরকে চিহ্নিত করা এবং পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনার জন্য প্রস্তাবিত রিসার্চ সেল এ লোকবল পদায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ করা হয়েছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক উক্ত সেলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক উপযুক্ত লোকবল পদায়নের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাই কোর্ট বেঞ্চে এই অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।