ঢাকার নয়া পল্টনের কাছে সড়কে হামলার মুখে পড়েছেন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
বুধবার বিকালে নয়া পল্টনের পশ্চিম দিকে ফকিরাপুল বাজার মোড়ে তার গাড়িতে এই হামলা হয় বলে অবসরপ্রাপ্ত এই বিচারকের দেহরক্ষী পুলিশকে জানিয়েছেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
বিএনপির একটি মিছিল থেকে এই হামলা হয় বলে অভিযোগ এসেছে। হামলার নিন্দা জানিয়ে একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির বিবৃতিতেও বিএনপিকে দায়ী করা হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে বিএনপির কোনো ভাষ্য পাওয়া যায়নি।
গুরুত্বপূর্ণ অনেক মামলার রায়দানকারী বিচারপতি মানিক দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিচারকের দায়িত্ব পালন শেষে ২০১৬ সালে অবসর নেন। তিনি এখন ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটিতে সক্রিয় রয়েছেন।
একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়, “তিনি (বিচারপতি মানিক) যখন গাড়িতে নয়া পল্টনের রাস্তা ধরে যাচ্ছিলেন, তখন বিএনপির সমাবেশ থেকে তার নাম ধরে আপত্তিকর স্লোগান দেওয়া হয় এবং তার উপর শারীরিকভাবে হামলা করা হয়। একই সঙ্গে বিএনপির সন্ত্রাসীরা তার গাড়ি ভাঙচুর করে এবং গাড়ির ড্রাইভারকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।”
ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গাড়িতে হামলা হয়েছে বলে উনার গানম্যান পল্টন থানার ওসিকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। উনি একটা প্রোগ্রামে গিয়েছেন, সেখান থেকে ফিরলেই আমরা অভিযোগ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।”
এই বিচারপতির দেহরক্ষী মো. রফিক পল্টন থানার ওসিকে ঘটনাটি জানিয়েছেন।
পল্টন থানার ওসি সালাহউদ্দীন মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওনার গানম্যান রফিক থানায় এসে জানিয়েছে, একটি মিছিল থেকে তাদের গাড়িতে হামলা হয়েছে। উনি একটা প্রোগ্রামে আছেন। সেখান থেকে থানায় আসার কথা রয়েছে তার।”
রফিক পুলিশকে বলেছেন, বিকাল ৪টা থেকে সোয়া ৪টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। বিএনপির একটি মিছিল থেকে এ হামলা হয়।
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় রয়েছে।
একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির ও সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল এক বিবৃতিতে এই হামলার নিন্দা জানিয়ে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেছেন।
বিচারপতি মানিক মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলনীর সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।