স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের পাশাপাশি বিরোধিতাকারীদের পক্ষ নেওয়া নেতাকর্মীরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই দলীয় ক্ষমার সুযোগ পাচ্ছেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর চেয়ে বিদ্রোহীর সংখ্যা ছিল বেশি। যে কারণে নির্বাচনের সময় দলের সাংগঠনিক অবস্থা আরও জোরদার করতে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা।
শনিবার সন্ধায় গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "দলের বাইরে গিয়ে যারা নির্বাচন করেছে, যারা বিদ্রোহীদের সমর্থন করেছে তাদের বিষয়ে আজকে জাতীয় পরিষদের সভায় আলোচনা হয়েছে।
"নেত্রী (শেখ হাসিনা) বলেছেন, ‘যারা বিদ্রোহী নির্বাচন করেছে, তারা ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়ে দরখাস্ত করেছে বা করবে তাদের ক্ষমা করে দেওয়া হবে’।"
দলের জ্যেষ্ঠ আরেক নেতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সভায় জ্যেষ্ঠ নেতারা আওয়ামী লীগ যারা করেন তারা সবাই সবসময় নৌকার (দ্বাদশ নির্বাচনে) পক্ষেই থাকেন বলে তুলে ধরেন। এখন পর্যন্ত কাউকে বহিষ্কার করা হয়নি, পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিদ্রোহীরা জনপ্রিয় বলেই নির্বাচিত হয়েছে জানিয়ে তারা বৈঠকে আগামী নির্বাচনে তাদের দরকার হবে যুক্তি দেন।
ওই নেতা বলেন, “এই বিষয়গুলো সবাই বলেছেন, মাননীয় নেত্রী বিষয়টি আমলে নিয়ে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে মাফ করে দেওয়ার জন্য বলেছেন, তবে লিখিত দিলে তারা ক্ষমা পাবেন।“
বিএনপির বর্জনের মধ্যে এবারের স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে বিশেষ করে ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীতদের বিরুদ্ধে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি দেখা যায়। তখন দলীয় বিরোধিতকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের কাছে নাকাল হতে দেখা যায় দলীয় প্রার্থীদের। এদের দাপটে নৌকা হেরে যায় অনেক জায়গাতেই।