Loading...
The Financial Express

নেটওয়ার্ক ফিরেছে গ্রামীণফোনের, ব্যাখ্যা চায় বিটিআরসি

| Updated: February 24, 2023 16:17:51


নেটওয়ার্ক ফিরেছে গ্রামীণফোনের, ব্যাখ্যা চায় বিটিআরসি

ফাইবার অপটিক কেবল কাটা পড়ে দুই ঘণ্টার বেশি সময় বিভ্রাটের পর ফিরতে শুরু করেছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক।

বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত এই বিভ্রাটের মধ্যে বিপুল সংখ্যক গ্রাহক ভোগান্তিতে পড়ায় গ্রামীণফোনের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।

বিভ্রাটের এই সময়টায় ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার গ্রামীণফোন ব্যবহারকারীরা মোবাইলে নেটওয়ার্ক পাচ্ছিলেন না। ফলে কথা বলার পাশাপাশি ইন্টারনেট সেবাও পাওয়া যাচ্ছিল না। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

জরুরি যোগাযোগ করতে না পেরে এই সময়ে ভোগান্তিতে পড়েন গ্রাহকরা। অনেকে প্রিয়জনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পরে উদ্বেগের মধ্যে পড়েন, অনেকের ব্যবসায়িক যোগাযোগ বা পেশাগত দায়িত্ব পালনও বিঘ্নিতহয়।  

নেটওয়ার্ক বিভ্রাটে ভোগান্তিতে পড়ে অনেকেই সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে অভিযোগ জানাতে থাকেন। কানিজ ফাতেমা নামে একজন ফেইসবুকে লেখেন, নেটওয়ার্ক না থাকায় তিনি কথাই বলতে পারছেন না। কাওসার শাকিল নামে একজন লিখেছেন, “জিপি ইজ গন।”

গ্রামীণফোনের ফেইসবুক পেইজে সে সময় এক বিবৃতিতে বলা হয়, ফাইবার অপটিক কেবল বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে সাময়িকভাবে অসুবিধায় পড়েছেন গ্রাহকরা, সেজন্য গ্রামীণফোন ‘আন্তরিকভাবে দুঃখিত’।

“দ্রুত সমস্যা সমাধানে আমাদের টিম সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে কাজ করে যাচ্ছে।”

গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনস খায়রুল বাসার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুপুর ২টার দিকে নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার তিনটি জায়গায় ফাইবার অপটিক কেবল কাটা পড়ায় এ সমস্যা তৈরি হয়।”

বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, দেশে চালু থাকা ১৮ কোটি ৮ লাখ মোবাইল সিমের মধ্যে ৭ কোটি ৯৩ লাখই গ্রামীণফোন। অর্থাৎ, দেশের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের ৪২ শতাংশই গ্রামীণফোন ব্যবহার করেন, যাদের একটি বড় অংশ নেটওয়ার্ক না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির তরফ থেকে ব্যাখ্যা চেয়ে একটি জরুরি চিঠি পাঠানো হয় গ্রামীণফোনের সিইওকে।

বিটিআরসির পরিচলক (ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগ) মো. গোলাম রাজ্জাক স্বক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, গ্রাহক কর্তৃক প্রচুর পরিমাণে প্রাপ্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায় যে দেশব্যাপী মোবাইলফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রাপ্তিতে বিঘ্নতার সৃষ্টি হচ্ছে। দেশের শীর্ষ মোবাইল অপারেটর হিসেবে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা বিবেচনায় গ্রাহকসমূহ মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রাপ্তিতে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় সকল শ্রেণীর গ্রাহকগণ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

“এমতাবস্থায়, জাতীয় জরুরি অবস্থা বিবেচনায় গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক বিপর্যয়ের সঠিক কারণ ব্যাখ্যাসহ অতি দ্রুত জরুরি ভিত্তিতে দেশব্যাপী গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হল।” 

Share if you like

Filter By Topic