নির্বাচনের খবর সংগ্রহের সময় সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের বাধা দিলে ও লাঞ্ছিত করলে সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল জরিমানার বিধান রাখার প্রস্তাব করে আইন সংশোধনের খসড়া করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান।
রোববার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর।
তিনি জানান, আরপিও সংশোধনীতে এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন এক বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে জরিমানার বিধানও থাকবে।
গণমাধ্যমকর্মীরা ‘ইসির চোখ, কান’ মন্তব্য করে এ নির্বাচন কমিশনার জানান, নতুন এ ধারা সংযুক্ত করার সুপারিশ করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, “দায়িত্ব পালনের সময়ে যদি কেউ বাধাগ্রস্ত করে, ডিউটি পালনে যদি অ্যাসল্ট করে থাকে; ইকুইপমেন্টস এবং সঙ্গী-সাথী যারা আছে, তাদের যদি ক্ষতি করার চেষ্টা করে, সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ তিন বছরের জেলের বিধান রাখা হয়েছে। সর্বনিম্ন ১ বছর। এ ছাড়া জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।”
ঝিনাইদহে অনিয়মকারীরা আইনের আওতায়
রোববার ঝিনাইদহ পৌরসভায় ভোট হয়েছে। এই নির্বাচনে ইভিএমে ভোট নেওয়া হয়। সব কেন্দ্রে ব্যবহার করা হয় সিসিটিভি ক্যামেরা।
এ নির্বাচনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আহসান জানান, এ পৌরসভার ৪৭ কেন্দ্রের ২৬৫টি ভোটকক্ষের ৩৬৫টি সিসি ক্যামেরা রাখা হয়। কন্ট্রোল রুম ইসিতে রয়েছে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতিা নিশ্চিত হওয়ার ছাড়াও যারা সন্ত্রাসী, জোরপূর্বক ভোট দেওয়ার চেষ্টা করে থাকে, তারা ভয়ের মধ্যে থাকে।
“এই নির্বাচনে কিছু ক্ষেত্রে যেখানে যেটা অনিয়ম ধরা পড়েছে, আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। জোরপূর্বক একজনের ভোট একজন দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে আমরা চিহ্নিত করেছি। মাঠ প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। ১১টা বুথে এই ধরনের ঘটনা ঘঠেছে। আমরা অনিয়মে জড়িতদের সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় এনেছি।”
সংসদে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা রাখার চিন্তা
এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আহসান জানান, সংসদ নির্বাচনেও সব কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা দেওয়ার আন্তরিক ইচ্ছা, প্রচেষ্টা থাকবে। এটার সঙ্গে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তার বিষয় আছে।
তিনি বলেন, “বাজেট বরাদ্দের ঘাটতি থাকলে ঝূঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার প্রচেষ্টা থাকবে। ইচ্ছা আছে পুরো নির্বাচনটাই সিসি ক্যামেরার মধ্যেই আনা। সংসদের আগে যত নির্বাচন হবে সবগুলোতে ইভিএম ব্যবহার করব এবং সিসি ক্যামেরা থাকবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সিসি ক্যামেরার প্রয়োজনীতা বাড়ছে। এটা লাক্সারি নয়, এটা এখন প্রয়োজন।”