নভেম্বর মাসে দেশে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় (পয়েন্ট টু পয়েন্ট) সামান্য কমে ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
অর্থাৎ, গত বছরের নভেম্বরে মানুষ যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় পেয়েছিলেন, সেই একই পণ্য বা সেবার জন্য এ বছরের নভেম্বরে খরচ হয়েছে ১০৮ টাকা ৮৫ পয়সা। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
এক দশকের রেকর্ড ভেঙে গত অগাস্ট মাসে মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে পৌঁছায়। সেপ্টেম্বরে এই হার ৯ দশমিক ১০ শতাংশ হয়।
সেই হার অক্টোবরে আরেকটু কমে ৮ দশমিক ৯১ শতাংশে নামার তথ্য দিয়েছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদিক ডেকে নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি আরও কমার খবর দেন তিনি।
মূল্যস্ফীতির এই প্রতিবেদন তৈরির দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) অ্যাকাউন্টিং উইংয়ের পরিচালক মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদও উপস্থিত ছিলেন এ সময়।
মন্ত্রী বলেন, “অন্যান্য দেশে বিশেষ করে, ইংল্যান্ডেও সাধারণ মূল্যস্ফীতি ডাবল ডিজিটে পৌঁছে যাওয়ার পর তাদেরও এখন কমতে শুরু করেছে। সুতরাং আমাদের দেশেও কমার প্রবণতা… বিশ্বের সঙ্গেও মেলে, আমাদের সঙ্গেও মেলে।”
তিনি বলেন, “অগাস্টে আমাদের মুল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে পৌছে যাওয়ার পর আমি বলেছিলাম মুল্যস্ফীতির হার কমে আসবে। এরপর থেকে টানা তিন মাস কমেছে । ডিসেম্বর মাসেও মূল্যস্ফীতি কমার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশাবাদী।”
পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন অনুযায়ী নভেম্বরে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে খাদ্য উপখাতে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ। আর খাদ্য বহির্ভূত উপখাতে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে।