সম্মেলন উদ্বোধনের পর আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়েছে, যেখানে ক্ষমতাসীন দলটির নতুন নেতৃত্ব গঠন হবে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলন উদ্বোধন করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বক্তৃতা পর্ব দিয়ে সাজানো এই অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে আসা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও যোগ দেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ শেষে শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা প্রথম অধিবেশনের মুলতবি করছি, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে দ্বিতীয় অধিবেশন বসবে। সেখানে নতুন নেতৃত্ব আসবে। আজকে থেকে আমাদের বিদায়। সবাই ভালো থাকবেন।”
বিকাল ৩টার পরপরই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়।
কাউন্সিল অধিবেশনে মঞ্চে শেখ হাসিনার সঙ্গে রয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
কাউন্সিল অধিবেশনের শুরুতে আট বিভাগের আটটি জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বক্তব্য শুরু করেন। তার শুরু হয় রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁও জেলা দিয়ে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠান উন্মুক্ত হলেও কাউন্সিলে কেবল নির্বাচিত প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষকরাই অংশ নিতে পারছেন।
নতুন কমিটি গঠনে ভোটাধিকারের ক্ষমতাধারী কাউন্সিলরের সংখ্যা সাড়ে ৭ হাজার বলে আওয়ামী লীগ নেতারা ইতোপূর্বে জানিয়েছিলেন। এই কাউন্সিলরা ৮১ সদস্যের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করবে।
জাতীয় নির্বাচনের আগের বছর আয়োজিত ২২তম সম্মেলনে নেতৃত্বে খুব একটা পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা নেই বলে ইতোমধ্যে ইঙ্গিত মিলেছে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা গত ৪১ বছর ধরে আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে রয়েছেন। এবারও তার বিকল্প নেই বলে দলীয় নেতাদের ভাষ্য।
সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদের টানা দ্বিতীয় মেয়াদ সম্পন্ন করেছেন। এবারও তার থাকার সম্ভাবনা বেশি বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সূত্র। তবে এক্ষেত্রে শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা।
কাউন্সিলে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া পরিচালনা করতে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনকে চেয়ারম্যান করে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশনের অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন- প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মশিউর রহমান এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।
অতীতে দেখা গেছে, নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে দলীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম প্রস্তাব করা হবে। এরপর কাউন্সিলররা তাদের মতামত দেন।
আর অন্য পদগুলোতে কে থাকবে, তা ঠিক করার ক্ষমতা দলীয় প্রধানের হাতে অর্পণ করে কাউন্সিল। তিনি দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।