রাশিয়া মাত্র দুই দিনে ইউক্রেইনে ৩০টিরও বেশি ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মস্কো এ পর্যন্ত প্রায় ৪৫০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৮ হাজারেরও বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, কিইভে ভূপাতিত একটি ড্রোনে পাশে দাঁড়িয়ে বৃহস্পতিবার রাতে জেলেনস্কি এসব কথা বলেন; এ সময় তিনি মস্কোর বিমান শক্তির ‘ডানা বেঁধে’ দেওয়ার প্রত্যয় জানান। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
পশ্চিমা কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, ইরান রাশিয়াকে বিপুল সংখ্যক ড্রোন সরবরাহ করেছে; কিন্তু মস্কো ও তেহরান এটি অস্বীকার করেছে।
সম্প্রতি তাপমাত্রা নামতে শুরু করার পর ইউক্রেইনের বিদ্যুৎ, পানি সরবরাহের মতো বেসামরিক অবকাঠামোগুলো ধ্বংস করার লক্ষ্যে হামলা হামলা শুরু করে রাশিয়া। এসব হামলায় ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি আত্মঘাতী ড্রোন ব্যবহার করে মস্কো।
পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, ইরান তাদের নিজেদের তৈরি ড্রোন মস্কোকে সরবরাহ করছে এবং ইরানি সামরিক বাহিনীর বিশেষজ্ঞরা রাশিয়ার অধিকৃত ক্রিমিয়ায় পাইলটদের প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার জন্য অবস্থান করছে।
তাদের অবকাঠামোতে আক্রমণ চালাতে ব্যবহৃত কিছু ড্রোনকে ইরানি শাহেদ-১৩৬ ড্রোন বলে শনাক্ত করেছে কিইভ। এসব ড্রোন ‘কামিকাজে’ ড্রোন হিসেবে পরিচিত, কারণ এগুলো হামলার সময় ধ্বংস হয়ে যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আত্মঘাতী মিশন পরিচালনা করা জাপানি ফাইটার পাইলটদের ইউনিটের নাম ছিল এটি।
ইউক্রেইন জানিয়েছে, মোটামুটি ২০০০ অস্ত্রের সরবরাহ থেকে রাশিয়া ইতোমধ্যেই প্রায় ৪০০ ড্রোন ব্যবহার করেছে। কিন্তু ক্রেমলিনের সঙ্গে তারা কোনো অস্ত্র সরবরাহ চুক্তি করেনি বলে বারবার দাবি করে আসছে তেহরান আর মস্কোও ইরানি ড্রোন ব্যবহার করার কথা অস্বীকার করেছে।
এদিকে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা ইউক্রেইনকে অতিরিক্ত আরও ২৭ কোটি ৫০ লাখ ডলারের সামরিক সহায়তা দেবে।
এই সহায়তা ইউক্রেইনের আর্টিলারি সিস্টেমের জন্য গোলাবারুদের মজুদ পূরণ করতে ব্যবহৃত হবে। এসবের মধ্যে এইচআইএমএআরএস (হিমার্স) লঞ্চারের গোলাও আছে যেগুলো খুব সাফল্যের সঙ্গে ব্যবহার করেছে কিইভের বাহিনীগুলো।
কয়েকদিন ধরে ইউক্রেইনের যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াই কিছুটা ধীর গতিতে চলছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসনের দিকে ইউক্রেইনীয় বাহিনীর বহুল প্রত্যাশিত অভিযান খারাপ আবহাওয়ার কারণে থেমে থাকার কারণেই এমনটি হয়েছে বলে ধারণা পর্যবেক্ষদের।