রোদের দেখা মেলায় ঢাকায় শীত কিছটা কমলেও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সোমবার থার্মোমিটারের পারদ নেমেছে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
আরে দিন রোববার যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আর ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশিমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার তা আরও একটু বেড়ে ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রিতে উঠেছে।
তবে হিম হাওয়ায় উত্তর জনপদে শীতের দাপট চলছেই। সোমবার নীলফামারীর ডিমলায় ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সৈয়দপুরে ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, নাওগাঁর বদলগাছীতে ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দিনাজপুরে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং কুড়িগ্রামের রাজারহাট ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সোমবার সকালে ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা থাকতে পারে। দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে, যা দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে দেশের কোথাও কোথাও।
আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
পৌষের শেষ সপ্তাহ শুরুর আগে আগে কয়েকদিন ধরে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে আসার পাশাপাশি উত্তরী হাওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিস্তীর্ণ জনপদে।
এ পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন চলবে জানিয়ে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ রোববার বলেছিলেন, “আমরা আশা করছি, ১১-১২ জানুয়ারির দিকে শীতের তীব্রতা কিছুটা কমে আসবে।”
বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।
জানুয়ারি মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে দুই থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে, যার মধ্যে একটি মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে।