বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে শূন্যরেখায় বসবাসরত এক রোহিঙ্গা যুবক মিয়ানমার অভ্যন্তরে মাইন বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
রোববার সকালে তুমব্রু সীমান্তের বিপরীতে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ওই যুবক নিহত এবং আরও একজন আহত হন বলে জানিয়েছেন তমব্রু শূন্যরেখা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কমিউনিটি নেতা দীল মোহাম্মদ।
নিহত ওমর ফারুক (১৮) নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্রু সীমান্তে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৩ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা মো. আইয়ুবের ছেলে। আহত মো. সাহাবুল্লাহ ওরফে আব্বুইয়া একই ক্যাম্পের ১০ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা আবুল হোসেনের ছেলে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
নিহতের স্বজনদের বরাতে দীল মোহাম্মদ সাংবাদিকদের বলেন, “সকালে ওমর ফারুক ও সাহাবুল্লাহ মিলে সীমান্তে অতিক্রম করে মাছ ধরতে যায়। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আনুমানিক দেড় কিলোমিটার দূরে মেধা পাহাড় নামে পাহাড়ি এলাকায় পৌঁছলে আকস্মিক মাইন বিস্ফোরিত হয়।
“মাইন বিস্ফোরণে ওমর ফারুকের হাঁটুর নিচ পর্যন্ত দুই পা উড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়, সামান্য আহত হয় সাহাবুল্লাহ। বিকাল ৪টায় ওমর ফারুকের লাশ নিয়ে সাহাবুল্লাহ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছার পর ঘটনাটি জানা যায়।”
নিষিদ্ধ স্থলমাইন মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর ব্যবহারের নজির রেড ক্রসের গত মার্চ মাসের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
তাতে বলা হয়, স্থল মাইনসহ নানা বিস্ফোরকের বিস্ফোরণে মিয়ানমারে শত শত মানুষ হতাহত হচ্ছে প্রতি বছর। গত বছরও এমন বিস্ফোরণে আহত ১৬০ জনকে সহায়তা দিয়েছে রেড ক্রস।
রাখাইন প্রদেশের মতো সংঘাতপ্রবণ এলাকাগুলোতে এই বিস্ফোরণের ঝুঁকি বাড়ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।