ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডায়ালাইসিস সেন্টারের এসিতে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
রোববার বিকালে নতুন ভবনের চতুর্থ তলায় ওই ঘটনার সময় ধোঁয়ার মধ্যে রোগী ও স্বজনরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা এরশাদ হোসেন জানান, একটি এসির আউটডোর ইউনিটে আগুন লেগেছিল। বেলা ৩টা ৪ মিনিটে খবর পেয়ে তাদের দুটি ইউনিট গিয়ে ৩টা ১২ মিনিটে আগুন নিভিয়ে ফেলে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
অগ্নিকাণ্ডের সময় বেশ কয়েকজন কিডনি রোগীর ডায়ালাইসিস চলছিল। এ অবস্থায় হুট করে রোগীদের সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ না থাকায় স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। রোগীদের অনেকেই নাকে নল লাগানো অবস্থায় নিচে নেমে আসেন। তবে ডায়ালাইসিস চলমান থাকায় অনেকেই নামতে পারেননি।
রোগী শামসুন্নাহারের নাতনি আঁখিনূর জানান, তার দাদীর ডায়ালাইসি চলছিল। এ সময় হঠাৎ ধোঁয়ার গন্ধ পাওয়া যায়। কয়েকজন আগুন আগুন বলে চিৎকারও করেন।
“কিন্তু তাদের তো নড়ার উপায় নেই। রোগীর শরীরে ডায়ালাইসিস মেশিন যুক্ত করা। পরে নার্সরা এসে ডায়ালাইসিস বন্ধ রাখল। কিছুক্ষণ পরে তারা আবারও চালু করল। ওই কক্ষের ভেতরে আগুন বা ধোঁয়া ঢোকেনি। আতঙ্কিত হলেও আমরা কক্ষ থেকে বের হইনি।”
শামসুন্নাহার এসেছেন আগারগাঁওয়ের তালতলা থেকে। সপ্তাহে তার দুইবার ডায়ালাইসিস করতে হয় বলে জানান আঁখি নূর।
ডায়ালাইসিস হচ্ছে যন্ত্রের মাধ্যমে রক্ত পরিশোধনের প্রক্রিয়া। শরীর থেকে নলের মাধ্যমে রক্ত বের করে যন্ত্রে পরিশোধন করে আবার তা শরীরে ফেরত পাঠানো হয়।
আঁখিনূরের ভাষ্য, “মাঝপথে ডায়ালাইসিস বন্ধ করায় দাদীর শরীরে অপরিশোধিত রক্তই ‘রিটার্ন’ পাঠানো হয়।”
ওই সেকশনের সিনিয়র স্টাফ নার্স ইয়াছমিন খানম বলেন, ধোঁয়া ও আগুনের আতঙ্কে ডায়ালাইসিস কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখতে বাধ্য হন তারা।
অগ্নিকাণ্ডের সময় রোগীদের ডায়ালাইসিস চলছিল জানিয়ে হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, আগুনের আতঙ্কে কিছু সময় ডায়ালাইসিস বন্ধ রেখে পরে পুনরায় চালু করা হয়েছে।
“ডায়ালাইসিস শেষ হলে আমরা পুরোটা চেক করে- কোথায় কী ক্ষতি হয়েছে, তা দেখব। এসব অতি দ্রুত সময়ে মেরামত করা হবে। প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে, বেশ কিছু তার পুড়ে গেছে। এসব তার এসির হতে পারে।”
ঘটনাস্থলে থাকা সিদ্দিক বাজার ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শাহিন আলম বলেন, “প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে, বাইরের দিকে এসির বেশ কিছু তার পুড়ে গেছে।”