ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় সড়ক থেকে চাচা-ভাতিজার লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের সদস্যরা। সড়ক দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি খায়রুল আনাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার কালমেঘ বারোঢালী এলাকার ঠাকুরগাঁও-বালিয়াডাঙ্গী সড়ক থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের বরুণাগাঁও গ্রামের ওসমান গণির ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৮) ও শহিদুলের ভাই আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. পায়েল (১৮)।
ওসি খায়রুল আনাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার পর এক ব্যক্তি মোবাইলফোনে সড়কে দুজনের লাশ পড়ে থাকার কথা জানান। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় ওই দুজনের সঙ্গে থাকা মোবাইলফোন থেকে কল দিয়ে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়।
বালিয়াডাঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের কর্মী প্রদীপ চন্দ্র রায় বলেন, সড়কের পাশে তাদের মোটরসাইকেলটি পড়ে ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, মোটরসাইকেলে চড়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় তারা মারা যান।
“এছাড়া লাশ উদ্ধারের সময় তাদের শরীরে ও পাশে বাঁশের অংশ পাওয়া গেছে। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, কোনো বাঁশবাহী গাড়ির সঙ্গে মোটরসাইকেলটির ধাক্কা লাগতে পারে।”
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আলাউদ্দিন জানান, শহিদুল পৌর এলাকার সরকারপাড়া মহল্লায় তুলার দোকান চালাতেন। তার ভাইয়ের ছেলে পায়েল ওই দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন শহিদুল তার ভাতিজা পায়েলকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফিরছিলেন।
ওসি খায়রুল আনাম বলেন, অভিযোগ না থাকায় তাদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।