আবারও কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার চার কৃষককে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে ‘রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে।
শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার হ্নীলা লেচুয়াপ্রাং পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের অপহরণ করা হয় বলে জানান টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. আব্দুল হালিম। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
অপহৃতরা হলেন- টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ৬ নম্বর বড় লেচুয়াপ্রাং এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আব্দুস সালাম (৪৮), একই এলাকার ছৈয়দ হোসেন ওরফে গুরা মিয়ার ছেলে আব্দুর রহমান (৩২), রাজা মিয়ার ছেলে মুহিব উল্লাহ (১৫) এবং ফজলুল করিমের ছেলে আব্দুল হাকিম (৪০)।
রোববার হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী অপহৃত কৃষক পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “রাতে পাহাড় থেকে বন্যহাতির দল ভুট্টা ক্ষেতে এসেছিল। তাদের পাহাড়ের দিকে তাড়িয়ে দিয়ে টং ঘরে এসে ঘুমিয়ে ছিলেন কৃষকরা। সেখান থেকে ১৫-২০ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে তাদের অপহরণ করে নিয়ে গেছে।”
দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের কথা জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, “ক্ষেতে রক্তের দাগও দেখা যাচ্ছে।”
অপহৃত আব্দুস সালামের ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমার বড় ভাইসহ স্থানীয় আরও তিন কৃষক প্রতিদিনের মত পাহাড়ে ক্ষেত পাহারা দিতে যান। সেখানে তারা ভুট্টা, ধান, শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের চাষাবাদ করেন।”
“পাহাড়ি হাতির ভয়ে তারা রাত জেগে পাহারা দেন। রাতে সেখান থেকে চারজনকে তুলে নিয়ে যায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। আমরা রাতেই খবর পাই। পরে পুলিশকে জানাই। তবে তাদের কোনো খোঁজ-খবর পাওয়া যায়নি।”
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. আব্দুল হালিম বলেন, “আমরা আজ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তাদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
এর আগে হ্নীলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তিন দফায় ১২ কৃষককে অপহরণ করেছিল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। এদের মধ্যে কয়েকজন মুক্তিপণ দিয়ে ফিরেছিলেন। কাউকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সর্বশেষ ১৮ ডিসেম্বর টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের আটজনকে অপহরণ করা হয়েছিল। তারা প্রায় সাড়ে ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তিন দিন পর ছাড়া পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা।