নতুন শিক্ষাক্রমে অষ্টম শ্রেণীর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা ছিল না, এই পাবলিক পরীক্ষা দুটি বাদ দেওয়ার প্রস্তাব এখন অনুমোদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
ফলে এই শিক্ষাবর্ষ থেকে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা আর হচ্ছে না বলে সোমবার জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব আক্তার উননেছা শিউলী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ অনুযায়ী জেএসসি ও জেডিসি পাবলিক/বোর্ড পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা রাখা হয়নি বিধায় ২০২২ ও ২০২৩ এবং তৎপরবর্তীতে জেএসসি এবং জেডিসি পরীক্ষা বাদ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপরিউক্ত প্রস্তাব সানুগ্রহ অনুমোদন করেছেন।”
অষ্টম শ্রেণীর সমাপনীতে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা নেওয়া শুরু হয় ২০১০ সালে। তবে শিক্ষার্থীদের উপর পরীক্ষার চাপ বাড়ায় তা নিয়ে সমালোচনা ছিল শিক্ষাবিদদের।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত দুই বছর এ পরীক্ষা না নিয়েই শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু করেছে সরকার।
গত বছর ৫ জুন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছিলেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হতে যাওয়ায় আগামীতে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের অপেক্ষায় ঝুলে ছিল।
নতুন শিক্ষাক্রমে পরীক্ষার চাপ কমিয়ে ‘আনন্দময়’ শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা ইতোমধ্যে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
২০২৩ সাল থেকে ধাপে ধাপে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু করছে সরকার। প্রাথমিকের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি এবং মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে এই শিক্ষাক্রম শুরু হবে।
২০২৪ সালে তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম, নবম শ্রেণি এবং ২০২৫ পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে এই শিক্ষাক্রম শুরু হবে। এই সময়ের মধ্যে নতুন শিক্ষাক্রম পুরোপুরি বাস্তবায়ন হবে।