তাবলিগ জামাতের বাংলাদেশের কাকরাইল মসজিদের মুরুব্বি মাওলানা জুবায়েরপন্থিদের তত্ত্বাবধানে হওয়া বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে; দ্বিতীয় পর্ব পরিচালনা করবেন ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা।
মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীদের আগামী মঙ্গলবার সকালের মধ্যেই মাঠ ছেড়ে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
রোববার শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কমিশনার বলেন, “আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু হবে।”
“এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১১টার মধ্যে ময়দান আমাদের কাছে ঠিকঠাকমতো বুঝিয়ে দিয়ে প্রথম পর্বের মুরুব্বি-অনুসারী সবাইকে ইজতেমাস্থল ত্যাগ করতে হবে।”
আগে এক মঞ্চ থেকেই একবারই বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন হতো। কিন্তু মাওলানা জোবায়ের এবং মাওলানা সা’দ পক্ষের অনুসারীরা এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিভেদে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে দুই পক্ষ বিশ্ব ইজতেমা দুইবারে করার সিদ্ধান্ত নেয়।
করোনাভাইরাসের প্রকোপের আগে দুই বছর দুই ভাগে বিশ্ব ইজতেমা করেছে দুই পক্ষ। মাঝখানে মহামারীর কারণে দুই বছর ইজতেমার কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
এবার মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা প্রথম পর্বে ১৩-১৫ জানুয়ারি ইজতেমা পরিচালনা করেছেন। মাওলানা সা’দ পক্ষের অনুসারীরা ২০-২২ জানুয়ারি ইজতেমা পরিচালনা করবেন।
গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার বলেন, “এর আগে ইজতেমা সংক্রান্ত প্রস্তুতিমূলক সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ও যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীসহ ইজতেমার উভয় পক্ষের মুরুব্বিদের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমাদের কাছে মাঠ বুঝিয়ে দিয়ে চলে যেতে হবে।”
“পরে আমরা দ্বিতীয় পর্বের আয়োজকদের কাছে মাঠ বুঝিয়ে দেব। প্রথম পর্বের মতো শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে দ্বিতীয় পর্বেও একই নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে।”
মাওলানা সা’দপন্থি তাবলিগ জামাতের সুরা সদস্য মাওলানা ওয়াসিফ সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি, সব প্রস্তুতি আমাদের আছে। মঙ্গলবার আমাদের কাছে ইজতেমা মাঠ বুঝিয়ে দেওয়ার কথা। বুধবার থেকে আমাদের তাবলিগ সাথীরা মাঠে জমায়েত হতে থাকবেন। এর আগেই পুরো মাঠ গুছিয়ে নেওয়া হবে ইনশাল্লাহ।”
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ জানান, ইজতেমায় জরুরি পরিচ্ছন্নতা সেবা দেওয়ার জন্য সিটি করপোরেশনের সার্বক্ষণিক গার্বেজ ট্রাকসহ প্রায় ৬০০ পরিচ্ছন্নকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। ইজতেমা ময়দানের দক্ষিণ পাশে তুরাগ নদীর তীরে বর্জ্য ফেলার জন্য অস্থায়ীভাবে ড্যাম্পিং পয়েন্ট তৈরি করা হয়েছে।