জালিয়াতি ও প্রতারণার এক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তিন দিন কারবাসের পর জামিন পেয়েছেন ব্যবসায়ী কাজী এরতেজা হাসান।
আশিয়ান গ্রুপের করা এই মামলায় গত ১ নভেম্বর গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল পুলিশ। পরে ৪ নভেম্বর আদালতের মাধ্যমে পাঠানো হয় কারাগারে।
সোমবার এরতেজোর জামিন আবেদনের শুনানি হয় ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
আসামির পক্ষে জামিন শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কাজী নজিব উল্যাহ হিরু, মোকলেছুর রহমান বাদল। জামিনের বিরোধিতা করেন আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই নিজাম উদ্দিন ফকির।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় আসামির জামিনের আদেশ দেন মহানগর হাকিম মেহেদী হাসান।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর পরিচালক এরতেজা ভোরের পাতা গ্রুপ অব কোম্পানিজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। তিনি দৈনিক ভোরের পাতা ও পিপলস ডেইলির সম্পাদক। আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্যও তিনি।
গত ১ নভেম্বর রাতে গুলশান-২ এ তার কার্যালয় থেকে এরতেজাকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। পরে জানানো হয়, জমি জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে খিলক্ষেত থানায় করা আশিয়ান গ্রুপের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি মামলাটি দায়ের করেন আশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ভূইয়ার ভাই সাইফুল ইসলাম ভুঁইয়া। তিনি আশিয়ান ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্টসের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি)।
নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস তৈরির জন্য আশিয়ান গ্রুপের কাছ থেকে পাঁচ বিঘা জমি কিনে চুক্তি অনুযায়ী টাকা না দেওয়া এবং জালিয়াতি করে জমি নিবন্ধনের অভিযোগ আনা হয় মামলায়।
মামলায় নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৫/৬ জনকে আসামি করা হয়। অধ্যাপক ইউসুফ বাদে এজাহারের অন্য দুই আসামি হলেন- রিয়াজুল আলম ও সেলিম মুন্সী।
সেখানে এরতেজার নাম না থাকলেও তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করার কথা বলেছে পিবিআই।
ঢাকার ফার্মগেইটে যে ভবনে এরতেজার ভোরের পাতার কার্যালয়, সেই ভবনেই নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষা কার্যক্রম চলত।