জাপানের তৈরি দেশের প্রথম মেট্রোরেলের কোচগুলো তৈরি করতে জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন যন্ত্রাংশও ব্যবহার করা হয়েছে।
গত ১২ ডিসেম্বর এক অনুষ্ঠানে এ ট্রেনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে জাপানের দুই কোম্পানির যৌথ উদ্যোগ কাওয়াসাকি-মিতসুবিশি কনসোর্টিয়াম।
কনসোর্টিয়ামের কর্মকর্তা মিয়ামোতো হিদিয়াতি বলেন, ট্রেনের বগি, কারবডি, ট্রেন ইনফরমেশন সিস্টেম, চাকা ও এক্সেল, লাইটিং সিস্টেমসহ ট্রেনের বেশির ভাগ অংশের সরবরাহ এসেছে জাপান থেকে। সব অংশই এসেছে খ্যাতনামা কোম্পানি থেকে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
ঢাকার উচ্চ তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতার কথা বিবেচনায় নিয়ে মেট্রোরেলের জন্য উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বসানোর কথা জানিয়ে হিডিয়াতি বলেন, “উচ্চ মানসম্পন্ন উপাদান যুক্ত করার কথা বিবেচনায় নিয়ে আমরা এসি এনেছি অস্ট্রেলিয়া থেকে।
“আর ব্রেকিং সিস্টেম যুক্ত করা হয়েছে জার্মানি থেকে। ওই ব্রেকিং সিস্টেম থেকে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য বিদ্যুৎ তৈরি হবে।”
তিনি জানান, প্রতি ট্রেনে থাকবে ছয়টি কোচ। দুপাশে থাকবে দুটি ট্রেইলার-কার এবং মধ্যভাগে থাকবে চারটি মোটর কার। তবে বেশি যাত্রী সঙ্কুলানের জন্য প্রয়োজন হলে মাঝে আরও দুটি কোচ যুক্ত করার মত সুযোগ রয়েছে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড- ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, ছয় কোচ-বিশিষ্ট প্রতি ট্রেনে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০৮ জন যাত্রী চলাচল করতে পারবেন। মাঝের চারটি কোচের প্রতিটিতে সর্বোচ্চ ৩৯০ জন এবং দুপাশের ট্রেইলার কোচের প্রতিটিতে সর্বোচ্চ ৩৭৪ জন চড়তে পারবেন।
হিদিয়াতি বলেন, যাত্রী নিরাপত্তায় প্রতিটি কোচের ভেতরে থাকবে চারটি সিসি ক্যামেরা এবং বাইরের দুপাশেও দুটি সিসি ক্যামেরা থাকবে। জাপানি ট্রেনে বাইরের দুটি সিসি ক্যামেরা থাকে না।
ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি হবে ১০০ কিলোমিটার; তবে ট্রেনগুলো তৈরি হয়েছে সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার গতিতে চলার মত করে।
এলসিডি ডিসপ্লের মাধ্যমে ট্রেনের ভেতরে ও বাইরে গন্তব্যসহ বিভিন্ন তথ্য দেখানো হবে যাত্রীদের।