জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আগামী বছর ১২টি বিষয়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা (পিজিডি) কোর্স চালু হতে যাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার ঢাকার ধানমণ্ডিতে নগর কার্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান সাংবাদিকদের জানান, কর্মমুখী ও দক্ষতাভিত্তিক এক বছরের এসব কোর্স পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
চালুর অপেক্ষায় থাকা কোর্সগুলো হল- ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি, অন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ, ফার্মিং টেকনোলজি, ডেটা অ্যানালাইসিস, ট্যুরিজম অ্যান্ড ট্রাভেল ম্যানেজমেনট, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, সার্টিফায়েড অ্যাকাউন্টিং টেকনিশিয়ান, সাইবার সিকিউরিটি, সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট এবং ইংরেজি ও আরবি ভাষা।
অধ্যাপক মশিউর রহমান জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রি পর্যায়ে প্রায় চার লাখ আসন কমানো হয়েছে। অনার্স বা ডিগ্রিতে না নিয়ে শিক্ষার্থীদের ধীরে ধীরে ডিপ্লোমা ও শর্ট কোর্সে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
“সেটাও রাতারাতি সম্ভব হবে না। ডিগ্রি, অনার্স ও মাস্টার্সে শর্ট কোর্সগুলোকে এমবেডেড করব। আমরা এক সপ্তাহের মধ্যেই করতে পারি, কিন্তু শিক্ষক কই? তাই এখনই কলেজে কলেজে দিচ্ছি না, কেন্দ্রীয়ভাবে শুরু করব।”
নতুন কোর্সগুলো চালাতে কিছু শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে জানিয়ে উপাচার্য বলেন, “পিজিডি প্রোগ্রামগুলো শর্ট কোর্স হিসেবেও থাকবে। যাতে অনার্স ও ডিগ্রি পাসের সঙ্গে তারা একটি শর্ট কোর্সেরও সনদ পায়।”
ডিগ্রি ও অনার্সে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মত আইসিটি, অন্ট্রাপ্রিনিউরশিপ ও সফট স্কিল- এই তিন বিষয়কে বাধ্যতামূলক করা হবে বলে জানান উপাচার্য।
দুই বছর ধরে নতুন কলেজে অনার্সের অনুমোদন দিচ্ছে না জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
নতুন করে অনার্সে অধিভুক্তির পরিকল্পনা নেই জানিয়ে উপাচার্য মশিউর রহমান বলেন, “যদি কখনো খুব প্রয়োজন হয়, যুগোপযোগী নতুন বিষয়, যেমন টুরিজম- তাহলে ভবিষ্যতে নতুন বিষয় খুলব। যেসব কলেজে অনার্স চালু আছে, সেখানে পড়ানো যাবে কিনা, নিশ্চিত হয়ে নতুন করে বিষয় অধিভুক্তি দেওয়া হবে।”
১৯৯২ সালের ২১ অক্টোবর প্রতিষ্ঠা হওয়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী পড়ার সুযোগ পাচ্ছে।