বিশ বছরেরও বেশি সময় জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে কাজ করার পর সংস্থাটির শুভেচ্ছা দূতের পদ ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন অস্কারজয়ী হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি।
শনিবার ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে ৪৭ বছর বয়সী এ অভিনেত্রী লেখেন, “জাতিসংঘের করা অনেক কিছুতে আমার আস্থা আছে, বিশেষ করে তারা জরুরি ত্রাণের মাধ্যমে যেভাবে জীবন বাঁচায়, সেগুলো। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
“আমি এখন সেসব সংস্থার সঙ্গে কাজ করবো, যেগুলোর নেতৃত্বে সংঘাতে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্তরা আছেন; এর ফলে তাদের কণ্ঠস্বর আরও জোরাল হবে।”
ইউএনএইচসিআর জোলিকে শরণার্থীদের অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের একজন অ্যাখ্যা দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
নিজের ইনস্টাগ্রাম পেইজে দেওয়া বিবৃতিতে হলিউড তারকা জোলি লিখেছেন, “২০ বছর পর, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার কাজ ছেড়ে দিচ্ছি আমি।
“শরণার্থীদের আমি বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্মান করি, জীবনের বাকি সময়ও আমি তাদের সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে অঙ্গীকারাবদ্ধ।”
ইউএনএইচসিআর ছেড়ে কোথায় কাজ করার পরিকল্পনা করছেন, সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
পরে এক বিবৃতিতে ইউএনএইচসিআর বলেছে, জোলি এখন আরও বিস্তৃত পরিসরে মানবিক বিভিন্ন বিষয় ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করবেন।
“জোলি ক্লান্তিহীনভাবে কাজ করেছেন, ৬০টির বেশি ফিল্ড মিশনে গিয়ে তিনি শরণার্থীদের দুঃখ দুর্দশার পাশাপাশি আশাবাদ ও দুর্দমনীয় মনোভাবের বিষয়টি তুলে ধরেছেন,” বলেছে তারা।
মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ, লারা ক্রফট: টুম্ব রেইডারের মতো অসংখ্য ব্লকবাস্টার সিনেমায় অভিনয় করা জোলি ২০০১ সাল থেকে ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে কাজ করা শুরু করেন, ২০১২ সালে তিনি সংস্থাটির শুভেচ্ছা দূত হন।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতেও তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেইন, ইয়েমেন ও বুরকিনা ফাসোতে গিয়ে সেখানকার উদ্বাস্তুদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।