জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি থেকে দেশকে বাঁচাতে আগামী ২৭ বছরে ২৩ হাজার কোটি ডলার ব্যয়ের একটি পরিকল্পনা নিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়।
এই অভিযোজন পরিকল্পনা বা ন্যাশনাল অ্যাডপটেশন প্ল্যানে (এনএপি) আগামী বছর থেকে ২০৫০ সাল পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় এই অর্থ ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
এই পরিকল্পনার খসড়া পাঠানো হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। শিগগিরই জাতীয় এই দলিল অনুমোদন দেওয়া হতে পারে বলে আশা করছেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুল হক চৌধুরী।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে প্রতিবছর বা দীর্ঘ মেয়াদে কী পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে এবং তা কীভাবে পুষিয়ে নেওয়া যায়, বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে সেটি তুলে ধরতে এই পরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্যোগ নেয় সরকার।
পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় ওই পরিকল্পনা প্রণয়ণের দায়িত্ব দেয় বেসরকারি জলবায়ু পরিবর্তন গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসকে (সিইজিআইএস)।
সিইজিআইএ’র হিসাব বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রতি বছর বাংলাদেশে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রায় ১ দশমিক ৩ শতাংশ হারে ক্ষতি হচ্ছে।
গত অর্থবছরে দেশের জিডিপির আকার ছিল ৪৬৫ বিলিয়ন ডলার বা ৪৬ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। সেই হিসোবে প্রতি বছর ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৬৫ কোটি ডলার।
খসড়ায় বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনে কার্যকর পদক্ষেপ না নিতে পারলে বছরে ক্ষতির এই পরিমাণ ২০৩০ সাল নাগাদ জিডিপির ২ শতাংশ এবং ২০৫০ সালে জিডিপির ৯ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।
তেমন ঘটলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিশাল ক্ষতি মোকাবেলায় বছরে বাংলাদেশকে ৮৫০ কোটি ডলার ব্যয় করতে হবে। আর ২০২৩-২০৫০ সাল পর্যন্ত ২৭ বছরে ২৩০ বিলিয়ন বা ২৩ হাজার কোটি ডলার প্রয়োজন পড়বে।
বড় আকারে ছয়টি জলবায়ু পরিবর্তন সহিঞ্চু এজেন্ডার মাধ্যমে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।