ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় আরেক পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ঘটনার ১০ দিন পর মাহমুদ আলম নামে ওই পুলিশ কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্তের খবর বুধবার জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার জসিমউদ্দীন।
এ নিয়ে এই ঘটনায় এ পর্যন্ত আট পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হল। তাদের মধ্যে জঙ্গি ছিনিয়ে নিতে বাধা দিতে গিয়ে আহত এক কনস্টেবলও রয়েছেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
গত ২০ নভেম্বর জঙ্গি ছিনতাইয়ের দিন কনস্টেবল মাহমুদ ঢাকার সিএমএম কোর্ট হাজতখানার ডিউটি বণ্টনের দায়িত্বে ছিলেন বলে জানান উপ-কমিশনার জসীম। তিনি বলেন, মঙ্গলবার তাকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ হয়।
এই ঘটনায় যাদের যাদের দায়িত্বে অবহেলা বা গাফিলতির প্রমাণ মিলবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন।
জঙ্গি ছিনতাইয়ের পরদিনই পাঁচ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্তের কথা জানানো হয়েছিল। তারা হলেন- ঢাকার কোর্ট ইন্সপেক্টর মতিউর রহমান, হাজতখানার ইনচার্জ এসআই নাহিদুর রহমান, আসামিদের আদালতে নেওয়ার দায়িত্বে থাকা পুলিশের এটিএসআই মহিউদ্দিন, কনস্টেবল শরিফুল হাসান ও কনস্টেবল আব্দুস সাত্তার।
জঙ্গিদের হামলায় আহত কনস্টেবল নূরে আজাদ এবং কনস্টেবল জয়নালকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় কয়েকদিন পর।
সেদিন পুলিশকে মেরে এবং পেপার স্প্রে ছুড়ে নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান এবং আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাবকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তাদের সহযোগীরা।
তারা দুজনই প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যামামলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত। সোহেল লেখক অভিজিৎ রায় হত্যামামলায়ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত।
জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। তবে পলাতক জঙ্গিদের হদিস এখনও পুলিশ বের করতে পারেনি।