জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বিভিন্ন কাস্টম হাউজ ও দপ্তরের জন্য সোয়া তিনশ কোটি টাকায় ছয়টি কন্টেইনার স্ক্যানার সিস্টেম কিনছে সরকার।
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে স্ক্যানার কেনার প্রস্তাবটি অনুমোদন পায়। এছাড়া সার কেনার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রস্তাবও কমিটির সবুজ সংকেত পায়।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৈঠকে সভাপতিত্ব করলেও সভা শেষে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আসেননি। মূলত গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন না অর্থমন্ত্রী।খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
গত কয়েকটি বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন অতিরিক্তি সচিব সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছিলেন। তবে বুধবার সেটাও হয়নি। অর্থমন্ত্রণালয় থেকে একটি ওয়ার্ড ফাইলে বৈঠকের আলোচ্য সূচি জানিয়ে দেওয়া হয় সাংবাদিকদের।
সেই নথির তথ্য অনুযায়ী, নিউটেক কোম্পানি লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৩২৭ কোটি ১ লাখ ২৪ হাজার ৩৬৫ টাকায় বিভিন্ন কাস্টম হাউস ও দপ্তরের জন্য ছয়টি পূর্ণাঙ্গ কন্টেইনার স্ক্যানার সিস্টেম কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি।
বৈঠকে কানাডিয়ান কমার্শিায়াল করপোরেশনের কাছ থেকে ৪১৪ কোটি ১৩ লাখ ১৪ হাজার ৩০০ টাকায় ৫০ হাজার টন মিউরিয়েট অব পটাশ বা এমওপি সার কিনতে কৃষি মন্ত্রণারয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনকে (বিসিআইসি) ১৮৮ কোটি ৯৩ লাখ ২০ হাজার ৬৪৪ টাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশনের কাছ থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি।
তার চেয়ে একটু কম খরচে (১৮৫ কোটি ১২ লাখ ৭ হাজার ৭০০ টাকায়) কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড-কাফকোর কাছ থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার একটি প্রস্তাবেও অনুমোদন পেয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের থেকে যে দামে ইউরিয়া কেনা হচ্ছে, ঠিক একই দামে কাতারের মুন্তাজাত থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
অনুমোদিত এই পাঁচ প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ এক হাজার ৩০৪ কোটি ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬৫৩ টাকা। এর মধ্যে সরকারি কোষাগার থেকে ব্যয় হবে ৩২৭ কোটি এক লাখ ২৪ হাজার ৩৬৫ টাকা। বাকি ৯৭৭ কোটি ১২ লাখ ১৩ হাজার ২৮৮ টাকা দেশীয় ব্যাংক ঋণ থেকে ঋণ হিসেবে নেওয়া হবে।