রাজধানীর বাড়ির ছাদে কৃষি কাজে আগ্রহ বাড়াতে ওয়ার্ডভিত্তিক পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে মেলার আয়োজন করে এই পুরস্কার দেওয়া হবে। তবে কী পুরস্কার দেওয়া হবে, তা এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।
বুধবার ডিএনসিসি নগর ভবনে ছাদ কৃষি বিষয়ক এক কর্মশালায় মেয়র আতিকুল ইসলাম ছাদ কৃষি উৎসাহিত করতে পুরস্কারের ঘোষণা দেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
ঢাকায় ছাদে কৃষিকাজে সচেতনতা বাড়াতে ডিএনসিসির সঙ্গে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) যৌথভাবে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আয়োজন করে। ডিএনসিসির কাউন্সিলরা এতে অংশ নেন।
মেয়র আতিক অনুষ্ঠানে বলেন, “ছাদ কৃষির ফল ও সবজি নিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি মেলার আয়োজন হবে। সঠিক নিয়ম মেনে যারা ছাদে কৃষিকাজ করবেন তাদের পুরস্কৃত করা হবে।”
এই উদ্যোগের কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, এক ইঞ্চি জায়গাও যেন অনাবাদি ফেলে রাখা না হয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে প্রতিটি জায়গায় চাষাবাদ করতে হবে।
“ঢাকায় বাগান বা কৃষির জন্য পর্যাপ্ত জায়গা পাওয়া যাবে না। এ কারণে বাড়ির ছাদ কৃষিকাজের বড় ক্ষেত্র হতে পারে। আমরা ঢাকা শহরে ছাদ কৃষির মাধ্যমে কৃষি বিপ্লব ঘটাতে চাই।”
ঢাকায় মশা নিধন অভিযানের সময় বিভিন্ন বাড়ির ছাদের ফুলের টবে মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছিল।
ছাদ কৃষি মশার উপদ্রব বাড়াতে পারে কি না- এমন প্রশ্নে মেয়র আতিক বলেন, “ছাদ বাগানেই মশার জন্ম কথাটি ঠিক না। বরং নিয়ম মেনে ছাদ বাগান করলে ছাদে মশা জন্মানো বন্ধ করা সম্ভব।
“বাগান না করলে দেখা যায় অনেক ছাদে লোকজন যায় না, পানি জমে থাকে, অব্যবহৃত জিনিসপত্র পড়ে থাকে। সেখানে মশার লার্ভা জন্মায়। বাগানের পরিচর্যার জন্য নিয়মিত ছাদে গেলে এমনটা হবে না। ছাদ বাগান করার মাধ্যমেই মশা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।”
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে কর্মশালায় এফএওর সিনিয়র টেকনিক্যাল এডভাইজর জ্যাভিয়ার বুয়ান, ডিএনসিসি মেয়রের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. কবিরুল বাসার, ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন।