বাজারে নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দামে বিক্রির মধ্যেই চিনির দাম কেজিতে আরও ৬ টাকা বাড়ল । খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
নতুন দরে খোলা চিনির দাম বেড়ে হল ৯০ টাকা কেজি, আর প্যাকেটজাত চিনি প্রতি কেজি হল ৯৫ টাকা।
বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ব্যবসায়ীদের এক সভা শেষে মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ সাংবাদিকদের নতুন দর জানান।
এর আগে খোলা চিনি প্রতি কেজি সরকার নির্ধারিত দর ছিল ৮৪ টাকা এবং প্যাকেটজান চিনি ছিল ৮৯ টাকা। গত মাসে সেই দর নির্ধারিত হলে কিন্তু বাজারে তার চেয়ে বেশি দামেই চিনি বিক্রি হচ্ছিল।
বাংলাদেশে চিনির মোট চাহিদার অধিকাংশই আমদানি করে মেটাতে হয়। দেশে বছরে ১৮ থেকে ২০ লাখ টন পরিশোধিত চিনির চাহিদা রয়েছে। রাষ্ট্রীয় চিনিকলগুলো থেকে আসে সর্বোচ্চ এক লাখ টনের মতো চিনি। বাকিটা পূরণ হয় আমদানি থেকে।
ডলারের দরের উর্ধ্বগতিতে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়াকে কারণ দেখিয়ে চিনির দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন ব্যবসায়ীরা।
বাণিজ্য সচিব তপন বলেন, “আমরা আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত ডলারে দাম ধরতাম না। বর্তমানে ১০৫ টাকা দরে ডলার ধরলে চিনির দাম বেশি হয়। সেজন্য কেজিতে ৬ টাকা বাড়ানো হয়েছে।”
চিনির দাম বাড়লেও সুপার পাম অয়েলের দাম লিটারে ৮ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
প্রতি লিটার সুপার পাম তেল ১২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা এতদিন ১৩৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।
গত এক সপ্তাহ ধরেই সুপার পাম তেলের দাম কমতে দেখা গেছে বাজারে। গত শুক্রবার প্রতি লিটার সুপার পাম তেল ১১৮ টাকা থেকে ১২৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছিল।
বাণিজ্য সচিব বলেন, “বেশি দামের যে তেল বাজারে আছে, সেটা আগের দামে বিক্রি করা যাবে। এখন যে তেল বাজারে যাবে, সেটা কম দামে বিক্রি হবে।”
সয়াবিন তেলের দাম সম্প্রতি লিটারে ১৪ টাকা কমিয়ে দেওয়ার কথা বলেন তিনি।