চট্টগ্রাম থেকে মালয়েশিয়ার পেনাং বন্দরে যাওয়া একটি খালি কন্টেইনারের ভেতরে এক ব্যক্তির লাশ পাওয়ার পর অনুসন্ধান শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণ কোরিয়ার সিনোকের শিপিং লাইন্স পরিচলিত ‘এমভি সোয়াসদি আটলান্টিক’ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে ওই খালি কনটেইনার নিয়ে গত ১০ অক্টোবর মালয়েশিয়ার পেনাং বন্দরে নোঙ্গর করেছিল। সেখানেই নিরাপত্তাকর্মীরা কন্টেইনারের ভেতর লাশ পান।
৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের খালি ওই কন্টেইনারটি জাহাজে তোলার জন্য গত ৪ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠানো হয়েছিল সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপো থেকে, যেখানে গত জুন মাসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অর্ধশত মানুষের প্রাণ যায়।
কন্টেইনারে কোন জায়গায়, কীভাবে লোক ঢুকল সেটি এখন খতিয়ে দেখার কথা বলেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট গ্লোব লিংক অ্যাসোসিয়েটস। তবে লাশটি কোনো বাংলাদেশির কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
গ্লোব লিংক অ্যাসোসিয়েটসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনুল হক চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাদের মেইন লাইন অপারেটরের নির্দেশনা অনুযায়ী বিএম ডিপোতে রাখা ওই কন্টেইনার মালয়েশিয়ায় পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
“গত ৪ অক্টোবর ডিপো থেকে খালি অবস্থাতেই সেটি চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠানো হয় এবং সেখানে জাহাজে তোলা হয়।”
তিনি বলেন, জাহাজটি ৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রওনা দিয়ে ৯ অক্টোবর পেনাং পৌঁছায়, পরদিন জেটিতে নোঙ্গর করে।
“১৪ অক্টোবর খালি কন্টেইনারটি পেনাং বন্দর থেকে ডিপোতে নিয়ে যাবার পথে নিরাপত্তাকর্মীরা দুর্গন্ধ পেয়ে সেটি তল্লাশি করে মৃতদেহটি পায়।”
ঘটনাটি সেখানকার পুলিশ তদন্ত করছে জানিয়ে মঈনুল বলেন, “আমাদের এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানানো হয়নি। জাহাজের মেইন লাইন অপারেটরের মাধ্যমে আমরা ঘটনা জানতে পারি এবং কন্টেইনারের নম্বর ট্র্যাক করে উৎস জানা গেছে।”
বিএম কন্টেইনার ডিপোর নির্বাহী পরিচালক ক্যাপ্টেন মায়নুল আহসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিষয়টি আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে জেনেছি। খালি কন্টেইনারটি আমাদের ডিপো থেকে গিয়েছিল। তবে ডিপো থেকে কোনো কন্টেইনার বন্দরে যাবার সময় গেইটে সিকিউরিটি চেক শেষে ছবি তুলে ও ভিডিও করে রখা হয়। আমাদের এখান থেকে কন্টেইনারটি খালিই গেছে।”
তার ভাষ্য, চট্টগ্রাম বন্দরেও প্রবেশের সময় কন্টেইনারগুলো পরীক্ষা করে দেখা, কন্টেইনারে কিছু থাকলে সেখানেই সেটা ধরা পড়ার কথা।
ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে জানিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কোন পয়েন্টে কন্টেইনারে লোক ঢুকেছে, সেটি খোঁজার চেষ্টা হচ্ছে। ওই লাশ আদৌ কোনো বাংলাদেশির কি না তাও দেখা হচ্ছে।”
তবে এ ঘটনায় বন্দরের তরফ থেকে এখনও কোনো তদন্ত কমিটি হয়নি বলে জানান তিনি।