মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সুচিকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে সামরিক জান্তা শাসিত দেশটির একটি আদালত।
আদালতের কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত একটি সূত্রের বরাতে বুধবার এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সামরিক শাসন বিরোধী এ নেত্রীর বিরুদ্ধে ঘুষ থেকে শুরু করে নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনসহ অন্তত ১৮টি অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব অভিযোগের মোট সর্বোচ্চ সাজা প্রায় ১৯০ বছর পর্যন্ত হতে পারে। সু চি কোনো অন্যায় করার কথা অস্বীকার করেছেন।
গতবছর ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সু চির নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। এরপর সু চি ও তার দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে একের পর এক মামলা দেওয়া হয়।
তখন থেকেই বন্দি আছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি। মিয়ানমারের রাজধানী নিপিধোয় সামরিক জান্তার বিশেষ আদালতে তার রুদ্ধদ্বার বিচার চলছে। গণমাধ্যমকে এ বিচার প্রক্রিয়ার খবর জানানো হচ্ছে না। সু চির আইনজীবীদেরও সংবাদ মাধ্যম এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়া, করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ ভঙ্গ, অবৈধভাবে ওয়াকিটকি ব্যবহার এবং ঘুষ নেওয়াসহ কয়েকটি অভিযোগে কারাদণ্ড হয়েছে ৭৭ বছর বয়সী এ নেত্রীর।