Loading...
The Financial Express

গুজরাটে সেতু ধসে মৃত্যু বেড়ে ১৪১

| Updated: October 31, 2022 13:57:21


ছবি: রয়টার্স ছবি: রয়টার্স

ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে ব্রিটিশ আমলের একটি ঝুলন্ত সেতু ধসের ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে ১৪১ জনে পৌঁছেছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

মোরবি জেলায় মাচ্চু নদীর উপর ওই ঝুলন্ত সেতুটি রোববার সন্ধ্যায় কয়েকশ মানুষ নিয়ে হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ে। বিবিসি জানিয়েছে, সে সময় সেতুতে থাকা অনেকেই ছিটকে নদীতে পড়ে যান। সোশাল মিডিয়ায় আসা ভিডিওতে ভেঙে পড়া সেতু থেকে মানুষকে ঝুলে থাকতেও দেখা যায়। 

এনডিটিভি জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর থেকে ১৭৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আরও অনেকে নিখেঁজ রয়েছেন, তাদের সন্ধানে নদীতে তল্লাশি চলছে।

আহমেদাবাদ থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯ শতকে, ভারতে ব্রিটিশ শাসনের সময়। স্থানীয়দের কাছে জুল্টো পুল নামে পরিচিত ২৩০ মিটার দীর্ঘ ওই সেতুতে অনেকেই বেড়াতে যান।

সাত মাস বন্ধ রেখে সংস্কার কাজ সেরে মাত্র চার দিন আগেই গুজরাতের নববর্ষের দিন খুলে দেওয়া হয়েছিল সেতুটি। কেন সেটি ভেঙে পড়ল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে গুজরাট প্রশাসন।

সেতু ধসের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান প্রশাসনের কর্মকর্তারা; শুরু হয় উদ্ধার কাজ। রাজ্য সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ব্রিজেশ মের্জা এনডিটিভিকে বলেন, “সংস্কারের কাজ মাত্র গত সপ্তাহেই শেষ হল। আমরাও স্তম্ভিত। বিষয়টা আমরা অবশ্যই দেখব।”

আর স্থানীয় পৌর কর্তৃপক্ষের প্রধান সন্দ্বীপসিং জালা বলেছেন, সংস্কার শেষে সেতুটি খুলে দেওয়ার আগে ঠিকাদার প্রশাসনের অনুমতি নেয়নি। 

গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সঙ্ঘভী বলেছেন, এ ঘটনায় একটি ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে। পাশাপাশি পাঁচ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করা হয়েছে তদন্তের জন্য।

দুর্ঘটনার সময় সেতুর ওপর পাঁচ শতাধিক মানুষ ছিল বলে জানানো হয়েছে কয়েকটি খবরে। এনডিটিভি লিখেছে, সে সময় সেতুর উপরে অনেকে ছট পূজা করছিলেন। বহু নারী ও শিশু ছিল তাদের মধ্যে।

প্রতীক ভাসাভা নামের একজন স্থানীয় একটি টেলিভিশনকে বলেন, দুর্ঘটনার সময় তিনি সেতুর উপরে ছিলেন। পানিতে পড়ে যাওয়ার পর সাঁতরে তীরে ওঠেন। কয়েকটি শিশুকেও তিনি নদীতে পড়ে যেতে দেখেছেন।

"আমি তাদের কয়েকজনকে আমার সাথে টেনে আনতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তারা ডুবে গেছে কিংবা ভেসে গেছে।"

সুকরাম নামের আরেকজন বলেছেন, অনেক মানুষের চাপে সেতুটি যখন ভেঙে পড়ে, তখন একজন আরেকজনের উপরে গিয়ে পড়ে।

সোশাল মিডিয়ায় আসা কিছু ভিডিওতে দুর্ঘটনার সময়ের বিশৃঙ্খলার চিত্রও এসেছে। সেখানে দেখা যায় ধসে পড়ার আগে সেতুটি দুলতে শুরু করেছিল। যে কেবলের ওপর সেতুটি ঝুলছিল, সেগুলো ছিঁড়তে শুরু করলে অন্ধকার নদীতে ভেঙে পড়ে সেতুটি। তখনও অর্ধেক ঝুলে থাকা সেতুর উপরের দিকে ওঠার চেষ্টা করছিলেন অনেকে।

গুজরাট ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিজের রাজ্য। রোববার ওই দুর্ঘটনার সময় তিনি গুজরাটেই ছিলেন। মর্মান্তিক ওই ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি।

Share if you like

Filter By Topic