পরিবহন মালিকরা গাড়ি বন্ধ করলে হেঁটে হলেও লাখো মানুষ খুলনার বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দেবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির নেতারা। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
বুধবার বিকালে খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খান বলেন, “যতই বাঁধা-বিপত্তি আসুক, গাড়ি বন্ধ করা হোক, পায়ে হেঁটে হলেও লক্ষাধিক লোক শনিবারের এই সমাবেশে সমবেত হবেন।”
খুলনা শহরের ডাকবাংলো ও ফেরিঘাট মোড়ের মাঝামাঝি সোনালী ব্যাংক চত্বরে আগামী শনিবার বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ হওয়ার কথা। ইতোমধ্যে সমাবেশের অনুমতিও পেয়েছে তারা।
এর মধ্যেই জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি শুক্র ও শনিবার খুলনায় চলাচলকারী সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানানো হয়। যে সিদ্ধান্তের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নও।
বিভাগীয় গণসমাবেশকে সামনে রেখে খুলনায় বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণাকে ‘সরকারের ষড়যন্ত্র’ হিসাবে দেখছেন বিএনপির নেতারা। বুধবার দুপুরে খুলনায় বিএনপির কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নেতারা এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “আমাদের দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ঘরবন্দি। এদিকে সরকার দেশটাকে লুটেপুটে খাচ্ছে। এতে দেশের মানুষ ফুঁসে উঠেছে। আমরা এই সমাবেশ করছি দেশের মানুষের মুক্তি জন্য।”
“সরকারের চাপে পরিবহন মালিক সমিতি বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে। আপনারা জানেন, মানুষ একসময় হেঁটে মক্কায় গিয়ে হজ করতেন। আমাদের নেতাকর্মীরা দরকার হলে পায়ে হেঁটে সমাবেশে যোগ দেবেন।”
খুলনার পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান, তারা যেন বিএনপির এই যৌক্তিক আন্দোলনে কোনো বাধা সৃষ্টি না করেন।
এ সময় বিএনপি নেতা দাবি করেন, সমাবেশকে সামনে রেখে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
খুলনা নগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, ১০ জেলার নেতাকর্মীরা এখানে সমবেত হবেন। চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের চেয়েও খুলনায় বেশি লোক সমাগম হবে।
“সড়কে নসিমন-করিমন চলাচলের প্রতিবাদে গাড়ি বন্ধ’
সকালে খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বিপ্লব সাংবাদিকদের শুক্র ও শনিবার সব রুটের গাড়ি বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন।
তবে কেন বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হল, এ প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর তখন দিতে পারেননি এ শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা।
তবে দুপুরে বাস বন্ধের কারণ জানিয়েছে খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ-মাইক্রোবাস মালিক সমিতি।
দুপুর ১২টায় খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ-মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সোনাডাঙার প্রধান সময় নিয়ন্ত্রকের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার বেলা ১১টায় সমিতির এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন সমিতির কর্মকর্তা, শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ ও মালিকরা।
“সভায় বলা হয়েছে, হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সড়ক-মহাসড়কে অবৈধভাবে নসিমন, করিমন, মাহেন্দ্র, ইজিবাইক ও বিআরটিসির গাড়ি চলাচল করছে। ২০ অক্টোবরের মধ্যে প্রশাসন কর্তৃক অবৈধ নসিমন, করিমন, মাহেন্দ্র, ইজিবাইক ও বিআরটিসির যত্রতত্র কাউন্টার বন্ধ করা না হলে ২১ ও ২২ অক্টোবর মালিক সমিতির সব রুটের গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে।”