Loading...
The Financial Express

গাইবান্ধা উপ নির্বাচন: তদন্ত প্রতিবেদন জমা বৃহস্পতিবার

| Updated: October 27, 2022 17:26:28


গাইবান্ধা-৫ উপ নির্বাচনের একটি কেন্দ্রে গোপন কক্ষে দুজন। সিসিটিভিতে এমন বহু দৃশ্য ভোটের দিন দেখেছে নির্বাচন কমিশন। গাইবান্ধা-৫ উপ নির্বাচনের একটি কেন্দ্রে গোপন কক্ষে দুজন। সিসিটিভিতে এমন বহু দৃশ্য ভোটের দিন দেখেছে নির্বাচন কমিশন।

গাইবান্ধা ৫ উপ নির্বাচনে অর্ধশতাধিক কেন্দ্রে ‘অনিয়মের’ ঘটনা তদন্ত শেষে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে তদন্ত কমিটি। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের। 

বৃহস্পতিবার এটি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন কমিটির প্রধান অশোক কুমার দেবনাথ।

ইসির এই অতিরিক্ত সচিব বলেন, “আমরা সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলেছি, প্রতিবেদনও চূড়ান্ত করেছি।“

নির্বাচন কমিশনের কাছে পুরো প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন, দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সুপারিশ করবে তদন্ত কমিটি।

তদন্তকালে কমিটি সিসি ক্যামেরায় চিহ্নিত করে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি বহিরাগত ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদেরও বক্তব্য নিয়েছে।

ভোটের মাঝপথে স্থগিত হওয়া গাইবান্ধা ৫ উপ নির্বাচনের দুই সপ্তাহের মাথায় এ প্রতিবেদন পেতে যাচ্ছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।

গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা ৫ আসনের উপ-নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণের মধ্যে সিসি ক্যামেরায় অনিয়মের দৃশ্য দেখে মাঝপথে ঢাকা থেকে নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশ দেয় ইসি।

গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনে অনিয়মের তদন্তে দ্বিতীয় দিনে বক্তব্য শুনেছে নির্বাচন কমিশনের গঠিত কমিটি।

এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল অনিয়মে সম্পৃক্তদের চিহ্নিত করতে তিন সদস্যের এই তদন্ত কমিটি করার ঘোষণা দেন।

কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটিতে ইসির যুগ্ম সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মো. কামাল উদ্দিন বিশ্বাস সদস্য এবং ইসির যুগ্ম সচিব (চলতি দায়িত্ব) মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী সদস্যসচিব হিসেবে আছেন।

এছাড়া কারিগরি কাজে সহায়তার জন্য ইসি সচিবালয়ের আইডিইএ-২ প্রকল্পের স্কোয়াড্রন লিডার মো. শাহরিয়ার আলমও যুক্ত রয়েছেন কমিটিতে।

নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাময়িক বহিষ্কার থেকে চাকরিচ্যুত করার মত এখতিয়ার রয়েছে সাংবিধানিক সংস্থা ইসির। সেই সঙ্গে দুর্বৃত্তদের জেল-জরিমানার বিধানও রয়েছে।

নির্বাচনে অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ‘মাত্রা অনুযায়ী’ শাস্তি দেওয়ার কথা জনিয়ে এর আগে ইসি বলেছে, তদন্তের মাধ্যমে অপরাধের মাত্রা বুঝে শাস্তি নির্ধারণ হবে।”

সিইসি হাবিবুল আউয়ালও বলেছিলেন, “অপেক্ষা করেন। আমরা তদন্ত কমিটি করেছি; রিপোর্টটা আসুক। তারপর আপনারা দেখেন আমরা কোনো পদক্ষেপ নিই কিনা। ওয়েট অ্যান্ড সি।”

গত ১৮-২০ অক্টোবর গাইবান্ধা গিয়ে তদন্ত কাজ পরিচালনা করে কমিটি। এসময় সব মিলিয়ে ৬২২ জনের সাক্ষ্য নিতে পেরেছে। সংশ্লিষ্টরা তদন্ত কমিটির সামনে বক্তব্য দেওয়ার পাশাপাশি লিখিতভাবে স্বাক্ষরও করেছেন।

দৃষ্টান্তমূলকভাবে অনিয়মকারীদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি আগামীর জন্য সুপারিশও করছে তদন্ত কমিটি।

গত ১৩ অক্টোবর গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমার শেষ সময় ছিল ২৪ অক্টোবর। পরে আরও তিন দিন চাইলে কমিটিকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়।

Share if you like

Filter By Topic