গণমাধ্যমে কথা বলায় অধ্যক্ষের কক্ষে আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকার ইডেন মহিলা কলেজের এক শিক্ষার্থী। তবে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
ছাত্রলীগের দুই পক্ষে কোন্দলের মধ্যে হল ছাড়তে বাধ্য হওয়া শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান কেয়া অভিযোগ তুলেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
মার্কেটিং বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী কেয়া ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি পদে আছেন, যে সংগঠনটি ছাত্রলীগের প্রবল বিরোধিতা করে আসছে।
কেয়া মঙ্গলবার ঢাকার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলন করেন। একদিন আগে কর্তৃপক্ষের ‘মানসিক নির্যাতনে’ অসুস্থ হয়ে তিনি এই হাসপাতালে ভর্তি হন বলে জানিয়েছেন।
কেয়া বলেন, সোমবার স্নাতকের প্রভিশনাল সার্টিফিকেট (সাময়িক সনদপত্র) আনার জন্য কলেজে গেলে অধ্যক্ষের কক্ষে তাকে ৬ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়।
তার দাবি, সেখানে কয়েকজন শিক্ষক তাকে কলেজের ‘বিরুদ্ধে’ গণমাধ্যমে কথা বলার কারণ জানতে চান। তার ব্যাগ, মোবাইল ফোন ‘কেড়ে নেওয়া হয়’। টানা ছয় ঘণ্টা ‘মানসিক নির্যাতনের’ পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্যালাইনও পান করানো হয়।
কেয়া বলেন, “আমার কাছে জোরপূর্বক মুচলেকা আদায় করা হয়৷ আমি যে বক্তব্য দিয়েছি, তার কারণ লিখিত আকারে দিতে বলা হয়। আমার বাড়িতে ফোন দিয়ে বাবা-মাকে এসে আমাকে নিয়ে যেতে বলে। বাবা-মা গ্রামে থাকায় তারা আসতে পারেননি। পরে ঢাকায় আমার এক চাচাত ভাই থাকেন, তিনি এসে লিখিত দিয়ে আমাকে কলেজ থেকে নিয়ে যান।”
কেয়ার অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা একেবারে অসত্য একটা অভিযোগ।”
কী ঘটেছিল- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “গতকাল সে কলেজে এসেছিল তার গ্র্যাজুযেশনের প্রভিশনাল সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য। তখন আমাদের একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং চলছিল। সেখানে বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
“সে যেহেতু সাম্প্রতিক সময়ে মিডিয়ায় বিভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন, সেজন্য বিভাগীয় প্রধানরা তার ওই বক্তব্যের প্রমাণসহ কারণ জানতে চেয়েছেন। সে তার বক্তব্যের সপক্ষে কিন্তু কিছু বলতে পারেনি। পরে তাকে লিখিতভাবে বক্তব্য জানাতে বলা হয়।”
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগে কোনো নোটিস দেওয়া হয়েছিল কি না- এমন প্রশ্নে সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য বলেন, “হল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে তাকে তো আর পাওয়া যাচ্ছিল না। যার ফলে জিজ্ঞাসাবাদ করারও সুযোগ হয়নি। এখন যেহেতু তাকে কাছে পাওয়া গেছে, তাই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।”