ময়মনসিংহের বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগযোগ বন্ধ রয়েছে; এ অবস্থার মধ্যেই নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হচ্ছেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, নেতাকর্মীদের হত্যা ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে ডাকা এ গণসমাবেশ সফল করতে বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হেঁটে সমাবেশস্থলে আসতে দেখা যায়।
তাছাড়া শুক্রবার বিকাল থেকেই অনেক নেতাকর্মী ময়মনসিংহে অবস্থান করতে শুরু করেন।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সমাবেশস্থলে আসেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হবে। গতরাত থেকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ভয়ভীতি দেখালেও মানুষ ভীত নয়। গণপরিবহন বন্ধ থাকার পরেও মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে এ সরকারকে মানুষ আর ক্ষমতায় চায় না।”
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান মজনু বলেন, “গণপরিবহন বন্ধ থাকায় নেতাকর্মীদের আসতে খুব সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে যাতে সমাবেশে লোকজন আসতে না পারে।”
কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান লিটন বলেন, “শুক্রবার আমরা ময়মনসিংহে অবস্থান নিয়েছি সমাবেশ সফল করার জন্য। আর সকাল থেকেই আমরা সমাবেশস্থলে বিক্ষোভ মিছিল করছি।”
গণপরিবহন বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন মন্তা বলেন, “আমরা গণপরিবহন বন্ধ করেনি। বাস চালকরা যদি তা বন্ধ করে দেয় তাহলে আমাদের করার কিছু নেই।”
বিএনপির নেতা কর্মীদের বাধা দেওয়া অভিযোগের বিষয়ে ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম বলেন, “সমাবেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের আসতে আমরা বাধা দিচ্ছি না। তবে যদি তারা সমাবেশের নামে অগণতান্ত্রিক কিছু করে তাহলে তাদের প্রতিহত করা হবে।“