খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলে ‘বড় ছাড়’ দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা একটি পরিপত্রের চারটি ধারা কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাই কোর্ট বেঞ্চ জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনে এই রুল দেয়।
মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ গত ২২ অগাস্ট এই রিট আবেদন করে। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
গত ১৮ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ পুনঃতফসিল সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করে। পরিপত্রের ৪ (২) (৩) ৫ ও ৬ এবং ৯ ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে এই রিট আবেদনটি করা হয়।
আদালতের জারি করা রুলে ওই চার ধারা কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, আইন সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ আট বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
শুনানি শেষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, “এই সার্কুলারের মাধ্যমে খেলাপি ঋণে কী সুবিধা দেওয়া হবে, তা নির্ধারণ করার পুরো ক্ষমতা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ব্যাংক মালিকেরাই ঠিক করবেন, কী সুবিধা পাবেন ঋণখেলাপিরা।
“আগে বিশেষ সুবিধায় ঋণ নিয়মিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন লাগত, যা স্বয়ং গভর্নর অনুমোদন করতেন। নতুন গভর্নর দায়িত্ব নিয়ে সেই ক্ষমতার পুরোটাই ব্যাংকগুলোর হাতে তুলে দিয়েছেন।”
রিট আবেদনের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে এই আইনজীবী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই সার্কুলারের ফলে ২৪ বছর পর্যন্ত খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে। একজন ঋণ নেওয়ার পর কত বছর বেঁচে থাকেন। বৃদ্ধ বয়সেও তো অনেকে ঋণ নেন। এছাড়া এই সার্কুলারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের মনিটরিংয়ের ক্ষমতা খর্ব হয়েছে।”