রাশিয়ার সেনারা পিছু হটে যাওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন নগরীতে আবার উড়েছে ইউক্রেইনের পতাকা।
রাশিয়া তাদের সেনা সরিয়ে নেওয়া শেষের ঘোষণা দেওয়ার পর খেরসনের আঞ্চলিক প্রশাসনিক ভবনে ইউক্রেইনের পতাকা ওড়ানো হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
স্যোশাল মিডিয়ায় খেরসন থেকে অনেক ছবি আসছে। তাতে বাসিন্দাদেরকে পতাকা তুলে খেরসনে রুশ বাহিনীর বিপরীতে ইউক্রেইনের জয় উদযাপন করতে দেখা যাচ্ছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
একটি ছবিতে ছোট্ট একটি মেয়েকে ইউক্রেইনের পতাকা হাতে ধরে থাকতে দেখা গেছে। খেরসনের ‘রক্ষকদের’ নগরীতে ফিরে আসার অপেক্ষায় ছিল সে।
ইউক্রেইনের নিউজ কোম্পানি ইউনিয়ান টেলিগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছে, “মানুষজন আমাদের রক্ষকর্তাদের জন্য অপেক্ষা করছে। ইউক্রেইনের পতাকা ইতোমধ্যেই উড়ছে খেরসনের আঞ্চলিক রাজ্য প্রশাসন ভবনে।“
“ঐতিহাসিক দিন! আমাদের এপিইউ (আর্মড ফোর্সেস অব ইউক্রেইন) এর গৌরব।”
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় শুক্রবার জানিয়েছে, সব রুশ সেনাই এদিন সকালে নিপ্রো নদীর পূর্বতীরের দিকে সরে গেছে। নদীর ওইপাশে থাকা সব সামরিক সরঞ্জাম এবং সেনাকেই নদীর পূর্বপ্রান্তে খেরসনের বাকি এলাকার প্রতিরক্ষার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে।
রুশ সেনারা সরে যাওয়ায় খেরসনের পশ্চিমাঞ্চল বা প্রায় ২০ শতাংশ এলাকা দখলমুক্ত হয়েছে।
তবে খেরসন এখন আদতেই কার নিয়ন্ত্রণে সেটি এখনও স্পষ্ট না হলেও সেখানকার রাস্তায় রাস্তায় অধিবাসীদের মধ্যে যে আত্মবিশ্বাস দেখা যাচ্ছে, পতাকা উড়ানো চলছে তাতে বোঝা যাচ্ছে নগরীটিতে রুশ সেনাদের উপস্থিতি আর চোখে পড়ছে না।
রুশ সেনাদের এই প্রস্থানকে ‘গুরুত্বপূর্ণ জয়’বলে প্রশংসা করেছে ইউক্রেইন।
তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র খেরসন থেকে রুশ সেনাদের এই সরে যাওয়াটা প্রেসিডেন্টের জন্য বিব্রতকর বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। রুশ সেনাদের এই প্রস্থান কেবল তাদেরকে এক জায়গা থেকে সরিয়ে নিয়ে আরেক জায়গায় মোতায়েন করা বলেই বর্ণনা করেছেন রাশিয়ার কর্মকর্তারা।