Loading...
The Financial Express

কোটি টাকার হিসাব ‘দিতে পারছেন না’ মিটফোর্ডের ক্যাশিয়ার

| Updated: December 03, 2022 20:13:58


কোটি টাকার হিসাব ‘দিতে পারছেন না’ মিটফোর্ডের ক্যাশিয়ার

মিটফোর্ড হাসপাতালের ক্যাশিয়ার মো. আব্দুছ ছাত্তার মিয়ার বিরুদ্ধে প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছে কর্তৃপক্ষ।

গত কয়েক মাসে ‘ইউজার ফি’র সব টাকা ব্যাংকে জমা না দেওয়ায় হিসাবে এ পরিমাণ টাকার গরমিল পাওয়ার কথা জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী রশিদ উন নবী। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত মঙ্গলবার থেকে আব্দুছ ছাত্তারকে এই গরমিলের হিসাব মেলাতে দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি অফিসে দিনরাত অবস্থান করেও হিসাব দিতে পারছেন না।

“আর সময় কত দিব? এখন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই,” বলেন পরিচালক।

প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা দুটোই নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এই কাজে আর কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা হবে।

গত মঙ্গলবার থেকে ছাত্তার মিয়া হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে অফিস কক্ষে হিসাব মেলাতে থাকায় তার বক্তব্য পাওয়ার সুযোগ ঘটেনি।

বিষয়টি নিয়ে কোতয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, “হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখনও আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। তবে এটা যে ধরনের অপরাধ, তা দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ করতে হবে।”

হাসপাতাল পরিচালক রশিদ উন নবীর অভিযোগ, হাসপাতালের দৈনিক বিভিন্ন টেস্টের (ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা) ফি’র সব টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে অল্প অল্প করে আত্মসাৎ করেন ছাত্তার।

গত কয়েক মাস ধরে তিনি (ছাত্তার) এমনটি করে আসছেন বলে ধারণা তার।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৪৬টি প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা ছাড়াও রেডিওলজি ও অন্যান্য বিভাগের প্রায় ৮০টি পরীক্ষা এই হাসপাতালে করা হয়ে থাকে।

নাম প্রকাশ না করে হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানান, এসব পরীক্ষায় প্রতিদিন গড়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা ‘ইউজার ফি’ আদায় হয়। প্রতিদিনের টাকা অগ্রণী ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়। আর একমাস পর ওই টাকা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়।

“প্রতিদিন কত টাকা ‘ইউজার ফি’ আদায় হলো আর কত টাকা জমা হলো তা মনিটরিং করেন হাসপাতাল উপপরিচালক মোহাম্মদ আলী হাবিব। এখানে উপপরিচালকের মনিটরিং- এর ঘাটতি রয়েছে।”

এ অভিযোগের বিষয়ে মোহাম্মদ আলী হাবিব বলেন, “একমাস নয়। মিটফোর্ড হাসপাতালের ইউজার ফি ১০ ও ১৫ দিন পর পর সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়।

“আর এখানে মনিটরিংয়ের কোনো ঘাটতি নেই। যে গরমিল হয়েছে, তার হিসেব তাকে (ছাত্তার) দিতে বলা হয়েছে।”

Share if you like

Filter By Topic