ঢাকার কেরাণীগঞ্জে টিনশেড বাসায় গ্যাসের চুলা থেকে আগুন লেগে শরীরে অনেকখানি পোড়া নিয়ে হাসাপাতালে এসেছিল শিশু ইয়াসীন, এক সপ্তাহের মরণপণ লড়াইয়ে মৃত্যু হল তার। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
গত দশ দিনে ইয়াসীনের পরিবারের আরও পাঁচ জন একে একে মারা গেছেন, তারা সবাই ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি ছিলেন।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক আইউব হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে ইয়াসীন মারা গেছে, তার শরীরের ২৮ শতাংশ অংশ পুড়ে গিয়েছিল।
গত ৩০ অগাস্ট ভোরে জিনজিরা মান্দাইল জেলেপাড়ার টিনশেড বাসায় গ্যাসের চুলা থেক আগুন লাগে। সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ায় দুই শিশুসহ ছয়জন দগ্ধ হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধারে দ্রুত ঢাকায় হাসাপাতালে নিয়ে এলেও ওই দিনই মৃত্যু হয় ইয়াসীনের আট বছর বয়সী খালাতো বোন মরিয়ম আক্তারের।
এরপর ২ সেপ্টেম্বর ইয়াসীনের বড় ভাই উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী শাহাদত এবং নানী নানি মোছাম্মৎ বেগম মারা যান।
সোমবার মৃত্যু হয় ইয়াসীনের নানীর বোন পান্না বেগমের। আর মঙ্গলবার মারা যান ইয়াসীনের খালা সোনিয়া বেগম, যিনি প্রথম দিন মারা যাওয়া মরিয়মের মা।
ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার জানিয়েছিলেন, মান্দাইল জেলেপাড়ার একটি টিনশেড ঘরে আগুন লাগার খবর পেয়ে তাদের কর্মীরা সেখানে গিয়েছিলেন। তবে তারা পৌঁছানোর আগেই স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলেন। তারাই দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মামুন অর রশীদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছিলেন, এই দুর্ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। কিন্তু আত্মীয়স্বজন সবাই হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তাদের পক্ষে বেশি কিছু জানা সম্ভব হয়নি।