গত ছয় মাসে অর্ধশতাধিক ওষুধের দাম যে মাত্রায় বাড়ানো হয়েছে, তাকে ‘অযৌক্তিক ও অন্যায়’ বলছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- ক্যাব।
বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, গত দুই-তিন বছরে মানুষের আয় বাড়েনি। এ অবস্থায় ওষুধ কোম্পানিগুলোর ‘অতি লোভের’ কারণে দাম বাড়ানো হচ্ছে ভোক্তার অধিকার উপেক্ষা করে।
“জীবনমান নিম্নমুখী, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। ওষুধ কেনার সামর্থ্য অনেকে হারাচ্ছেন। অতি মুনাফা করার যে লোভ তা মূল্যস্ফীতিকে আরও চাঙ্গা করে দিয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে ক্যাব জানায়, গত ২০ জুলাই ৫৩টি ওষুধের দাম পুনঃনির্ধারণ করে সরকার। প্যারাসিটামল, মেট্রোনিডাজল, এমোক্সিলিন, ডায়াজিপাম, ফেনোবারবিটাল, এসপিরিন, ফেনোক্সিমিথাইল পেনিসিলিনসহ অন্যান্য জেনেরিকের ওষুধ রয়েছে এর মধ্যে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
গত ছয় মাসে এসব ওষুধের দাম ১৩ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এছাড়া গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ, অ্যান্টিবায়োটিক উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগের ওষুধের দাম বেড়েছে ১৩ থেকে ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত।
গোলাম রহমান বলেন, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ‘যুক্তিসঙ্গতভাবে’ ওষুধের মূল্য নির্ধারণ করবে, এটাই তারা প্রত্যাশা করেন।
“সরকারি সংস্থা হিসেবে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তারা যখন ব্যর্থ হয়, তখন আমরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ি। তারা যেন যুক্তিসঙ্গতভাবে ওষুধের মূল্য নির্ধারণ করেন এবং ওষুধ যেন মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে।”
এভাবে দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, কোনো ওষুধ কোম্পানি কি এখন লোকসানে চলছে?
“যদি লোকসানেই না চলে, তাহলে এই সময়ে দাম বাড়ানো কি যুক্তিসঙ্গত হয়েছে? স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যে প্রস্তাব সময়োপযোগী কিনা, যুক্তিসঙ্গত কি না তা বিবেচনা করবেন।”
ক্যাবের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম, এসএম নাজের হোসাইন, কোষাধ্যক্ষ ড. মো. মঞ্জুর-ই-খোদা তরফদার, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মিজানুর রহমান রাজু ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত ছিলেন।