চট্টগ্রামে খুন হওয়া শিশু আলিনা ইসলাম আয়াতের দুই পায়ের পর এবার তার খণ্ডিত মাথাটি খুঁজে পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
বৃহস্পতিবার বন্দরনগরীর আউটার রিং রোডের আকমল আলী ঘাট সংলগ্ন স্লুইচ গেইট এলাকায় খণ্ডিত মাথাটি পাওয়া যায় বলে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক ইলিয়াস খান জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “বুধবার যে স্থানে আয়াতের খণ্ডিত পা দুটি পাওয়া গেছে, তার কাছাকাছি স্থানে প্যাকেটে মোড়ানো মাথাটি মিলেছে।”
আয়াত ইপিজেড থানার নয়ারহাট ওয়াছমুন্সী বাড়ি এলাকার সোহেল রানার মেয়ে। তাদের বাড়িতে দীর্ঘদিন ভাড়া থাকে আবীরের পরিবার।
গত ১৪ নভেম্বর পাঁচ বছরের আয়াত নিখোঁজ হওয়ার পর ইপিজেড থানায় জিডি করে তার পরিবার। পরে পিবিআই তদন্তে নেমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবীরকে আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদে আবীর পিবিআই কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, আয়াতের মৃতদেহ ছয় টুকরো করে ছয়টি প্যাকেটে ভরে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দিয়েছিল সে। এর মধ্যে মাথা ও দুই পা আকমল আলী রোড স্লুইচ গেইটের কাছে নর্দমায় এবং দুই হাত ও বাকি অংশ সাগরে ফেলার কথা বলেছিল সে।
আবীরকে আটক করার পর ২৫ নভেম্বর পিবিআই জানিয়েছিল, ‘মুক্তিপণের’ জন্য শিশু আয়াতকে অপহরণ করে আবীর। কিন্তু কোথাও রাখার জায়গা না পেয়ে তাকে হত্যা করে। তারপর আয়াতের বাবার কাছে টাকা দাবি করার পরিকল্পনা করে সে। সেজন্য একটি মোবাইলও কেনে। আর আগে রাস্তায় কুঁড়িয়ে পাওয়া একটি সিম তার সংগ্রহে ছিল। কিন্তু সেটা সচল না থাকায় ফোন করতে পারেনি।
ওই দিন আবীরকে নিয়ে পিবিআই সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বটি এবং আয়াতের জুতা উদ্ধার করেন। পরে আয়াতের বাবা নগরীর ইপিজেড থানায় একটি হত্যা মামলা করেন
ওই মামলায় শনিবার প্রথম দফায় দুই দিনের রিমান্ডে পেয়ে আবীরকে সঙ্গে নিয়ে আয়াতের মরদেহের খণ্ডিত অংশের খোঁজে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পিবিআই। পরে সোমবার আবীরকে ফের সাত দিনের হেফাজতে নেয় তদন্ত সংস্থা।
এছাড়া সোমবার রাতে আবীরের বাবা, মা ও বোনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের হেফাজতে নেওয়া হয়।