রাজধানীর মিরপুরে মোটরসাইকেল চুরির এক মামলায় একটি চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যারা এক দশক ধরে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচ শতাধিক মোটরসাইকেল চুরি করেছে বলে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে।
ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) জসীম উদ্দীন মোল্লা মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান, চক্রটির হোতা জসিম ওরফে সোহাগ। শনিবার নারায়ণগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার চক্রের আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এরা হলেন- মো. হারুন (২৮), আশিক বিশ্বাস (১৯), রাজীব (২০) ও মহসীন (২০)। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থেকে তিনটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ তাদের গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
উপ-কমিশনার জসীম জানান, গ্রেপ্তার জসিম পেশায় অটোরিকশা চালক। দিনে অটোরিকশা চালানোর পাশাপাশি কোন বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল চুরি করবেন, সেটি ঠিক করতেন। রাতে অন্যদের নিয়ে নেমে পড়তেন চুরির মিশনে।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ২০১৩ সালে ভায়রার হাত ধরে মোটরাসাইকেল চুরির পেশায় নামেন জসিম। গত ১০ বছরে পাঁচশর মতো মোটরসাইকেল চুরি করেছে তার চক্র।
“তার বিরুদ্ধে ১৩টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। মিরপুর থানাতেই এ নিয়ে চারবার গ্রেপ্তার হয়েছেন। চুরির মামলায় অন্তত ২০ বার গ্রেপ্তার হয়ে তিনি কারাগারে গেছেন।“
মিরপুর থেকে বাইক চুরির অভিযোগে জসিম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তির মামলার সূত্র ধরেই ‘চোর চক্রের হোতা’ এই জসিমকে গ্রেপ্তারের কথা জানান তিনি।
মিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ২০১৩ সালে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই জসিম একটা গ্রুপ তৈরি করেছিলেন। বর্তমানে তার গ্রুপে পাঁচজন থাকলেও আগে ২০ জন কাজ করতেন। পুরো ঢাকা শহরেই তারা চুরি করেন।
“বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারেও গেছেন তিনি। সবশেষ তিন মাস আগে কারাগার থেকে ছাড়া পান তিনি। বের হয়ে আবারও একই কাজে নেমে পড়েন।”
জসিম মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার বেলদারহাট গ্রামের ছোবহান বেপারীর ছেলে। তার দুই ভাই এর আগে ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।