করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা কমে আসায় গতবারের তুলনায় দ্বিগুণ বাংলাদেশি এবছর হজের সুযোগ পেতে পারেন বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
রোববার জাতীয় সংসদে টেবিলে উপস্থাপিত প্রশ্নোত্তরে জানান, চলতি বছর বাংলাদেশের জন্য সম্ভাব্য হজযাত্রীর কোটা ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকালে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০০৯ সালে বাংলাদেশের হজযাত্রীর কোটা ছিল ৫৮ হাজার ৬২৮ জন, যা ২০১৯ সালে বৃদ্ধি পেয়ে ১ লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ জন হয়।
মহামারীর বিধিনিষেধের মধ্যে পরের দুই বছর হজ হয সীমিত পরিসরে। ২০২০ সালে কেবল সৌদি আরবে অবস্থানরত ১০ হাজার বিদেশিকে হজের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালে তা বেড়ে হয় ৬০ হাজার।
পরিস্থিতির উন্নতি হলে ২০২২ সালে কিছুটা বড় পরিসরে হজ হয়। বিশ্বের ১০ লাখ মুসলমান গতবছর হজে অংশ নেওয়ার সুযোগ পান, তাদের মধ্যে বাংলাদেশিদের কোটা ছিল ৬০ হাজার ১৪৬ জনের।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সার্বিক বিবেচনায় ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ পর্যন্ত হজযাত্রীর কোটা ১৪৮% বৃদ্ধি পেয়েছে। যা বর্তমান সরকারের সাফল্যের একটি বড় মাইলফলক।”