করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে ইউক্রেইন যুদ্ধের পরিস্থিতিতে ইউরোপ-আমেরিকার ‘নিষেধাজ্ঞার কারণেই’ বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দার ধাক্কা এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “ইউক্রেইন যুদ্ধ আর আমোরিকা-ইউরোপের স্যাংশন সেটাই কিন্তু প্রত্যেকটা মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। শুধু আমাদের দেশে না, উন্নত দেশগুলো আরও খারাপ অবস্থায় আছে।
“সেইজন্য আমি সবাইকে আহ্বান করেছি, যার যেখানে যতটুকু জায়গা আছে, যে যা পারেন তাই উৎপাদন করেন, সাশ্রয় করেন। বিদ্যুৎ, পানি, তেল ব্যবহারে সবাই সাশ্রয়ী হোন, সবাই সঞ্চয়ী হোন, যেন এই আন্তর্জাতিক বিশ্বে যে অর্থনৈতিক মন্দার ধাক্কাটা এসেছে, সেই ধাক্কাটা যেন আমাদের দেশে না আসতে পারে।”
বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন ও ‘বেগম রোকেয়া পদক বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ বক্তব্য দিচ্ছিলেন সরকারপ্রধান।
বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে সবাইকে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের নিজেদেরকেই নিজেদের সেই ব্যবস্থাটা নিতে হবে। যেটা আমরা ইতোমধ্যে নিয়েছি, কিন্তু সেটাকে আমাদের আরও করতে হবে।”
দ্রব্যমূ্ল্য বৃদ্ধির পেছনে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটকে কারণ হিসেবে তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “আমি জানি মাঝখানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে কিছু মানুষের কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু এটাতো আন্তর্জাতিক একটা অবস্থার কারণে। কিন্তু আমরা যদি আমাদের উৎপাদন ঠিক রাখি, নিজেদেরটা নিজেরা করবো।
“কারো কাছে হাত পেতে চলব না, ভিক্ষা করে চলব না। জাতির পিতা বলেছিলেন- মাটি, মানুষ আছে। এই মাটি মানুষ দিয়েই আমরা দেশ গড়ব। এই চিন্তা থেকেও আমরা যদি প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করি, সবাই যদি একটু মিতব্যয়ী হই, সাশ্রয়ী হই ইনশাল্লাহ…।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আন্তর্জাতিকভাবে অনেক উন্নত দেশ এখন নিজেদেরকেই অর্থনৈতিক মন্দার দেশ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। বাংলাদেশ আল্লাহর রহমতে এখনো দেয়নি। দেওয়া লাগবে বলে আমি মনেও করি না।
“কারণ আমরা নিজেরা নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়ে চলব, এগিয়ে যাব। এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ, এগিয়ে যাবে নারী সমাজ।”
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, সচিব মো. হাসুনুজ্জামান কল্লোলসহ অনুষ্ঠানে অনেকে উপস্থিত ছিলেন।