ইমরান খান মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। তাই তাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন বলে পাকিস্তানের জিও টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন পুলিশের হাতে ধরা পড়া হামলাকারী।
পাকিস্তানে নতুন করে নির্বাচনের দাবিতে গত শুক্রবার লাহোর থেকে রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখে বিক্ষোভযাত্রা লংমার্চ শুরু করেন ইমরান খান। পথে বৃহস্পতিবার পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদে গুলিবিদ্ধ হন ইমরান।
তার পায়ে গুলি লেগেছে। তাকে কাছেই লাহোরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত হলেও তিনি আশঙ্কা মুক্ত বলে তার দলে তেহরিক-ই-ইনসাফ পাকিস্তানের (পিটিআই) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ইমরানসহ চারজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা জানিয়েছেন পিটিআই নেতারা। হামলার সময়ের একটি ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা গেছে, ইমরানের একজন সমর্থক হাতে অস্ত্র ধরে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে ধরে ফেলেছেন। পরে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পাকিস্তানের জিও নিউজ সন্দেহভাজন ওই হামলাকারীর একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। যেখানে হামলাকারী অকপটে স্বীকার করেছেন, ইমরানকে হত্যা করাই তার উদ্দেশ্য ছিল। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
তাকে প্রশ্ন করা হয় কেনো তিনি এ কাজ করেছেন। জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আমি এটা এজন্য করেছি যে, ইমরান লোকজনকে বিভ্রান্ত করছেন। আমি তা মেনে নিতে পারছিলাম না। এজন্য তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিলাম।
‘‘শুধুমাত্র ইমরানকে হত্যা করতে চেয়েছিলাম, আর কাউকে না। তাকে মেরে ফেলার সম্পূর্ণ চেষ্টা করেছিলাম।”
কবে থেকে হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, লাহোর থেকে ইমরান যখন বিক্ষোভযাত্রা শুরু করেন তখন থেকেই তিনি পরিকল্পনা করা শুরু করেন।
তার সঙ্গে এই পরিকল্পনায় আর কেউ জড়িত নয় বলেও জানান তিনি। বলেন, তিনি একটি মোটরসাইকেলে করে গুজরানওয়ালা এসেছেন এবং সেটি তার মামার দোকানের সামনে রেখে এসেছেন।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, সমাবেশস্থলে দুইজন হামলাকারী ছিলেন। তাদের একজনের হাতে পিস্তল এবং একজনের হাতে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল ছিল।