গ্রাহক ঠকানোর অভিযোগে আলোচিত ই কমার্স কোম্পানি ইভ্যালির বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
বাড্ডা থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলায় তার বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত, যা সামনে আসে বুধবার। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
গত ১৯ অক্টোবর ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ওই মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের দিন ট্রাইব্যুনালের ওই সময়ের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন শামীমার জামিন আবেদন নাকচ করে পরোয়ানা জারি করেন।
এ মামলায় শামীমার স্বামী ইভ্যালির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলও আসামী, যিনি বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছেন।
বুধবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এ মামলায় শামীমার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জারির বিষয়টি জানাজানি হয়।
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী শামীম আল মামুন জানান, গত ১৯ অক্টোবর অভিযোগপত্র গ্রহণের দিন শামীমা আদালতে উপস্থিত না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন করেন। বিচারক সময় আবেদন নাকচ করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
সেদিন আদালতে উপস্থিত রাসেল জামিন আবেদন করলেও তা নামঞ্জুর করেন বিচারক।
আগামী ২২ জানুয়ারি মামলাটির অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে বলে জানান বেঞ্চ সহকারী।
আলমগীর হোসেন নামে এক গ্রাহক ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় তিনি ডিজিটাল মাধ্যমে পণ্য কেনার জন্য টাকা জমা দিয়েও তা বুঝে না পাওয়ায় প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমাকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দিয়েছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের উপ পরিদর্শক প্রদীপ কুমার।
সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পাওয়া শামীমা পুর্নগঠিত ইভ্যালি পর্ষদের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব নিয়েছেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর অনলাইন এ প্ল্যাটফর্মকে আবার চালুর কার্যক্রম শুরু করেছেন।
এর অংশ হিসেবে সোশাল মিডিয়ায় আবার ২৮ অক্টোবর শুক্রবার থেকে নতুন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি চালুর ঘোষণা দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির ওয়েবসাইট চালু হয়নি।
গ্রাহক ঠকানোর একের পর এক অভিযোগের মুখে রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমাকে ২০২১ সালে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ঢুকতে হয়। শামীমা গত এপ্রিল মাসে জামিনে বের হলেও রাসেল এখনও বন্দি।