ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্প: হতাহতদের বেশিরভাগই স্কুলশিশু


এফই অনলাইন ডেস্ক   | Published: November 22, 2022 20:50:39 | Updated: November 23, 2022 18:22:20


ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্প: হতাহতদের বেশিরভাগই স্কুলশিশু

স্কুলে শিশুরা একসঙ্গে শ্রেণিকক্ষে বসে লেখাপড়া করার সময়ই শুরু হয় ভূমিকম্প। একাধিক শ্রেণিকক্ষ ধসে পড়লে ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে তারা। যে কারণে ইন্দোনেশিয়ার জাভায় সোমবারের ভূমিকম্পে হতাহতদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারীরা। 

শ্রেণিকক্ষে থাকা এমনই একজন ১৪ বছরের আপ্রিজাল মুলিয়াদি। বিবিসি-কে সে জানায়, ভূমিকম্পের সময় শ্রেণিকক্ষ ধসে পড়লে ধ্বংস্তুপের নিচে সে চাপা পড়ে। 

‘‘আমার পা ধ্বংস্তুপের নিচে চাপা পড়ে আটকে গিয়েছিল। আমার বন্ধু জুলফিকার আমাকে টেনে বের করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়।” 

তবে জুলফিকার নিজে বাঁচতে পারেনি। বন্ধুকে সরিয়ে নেয়ার পর সে নিজে ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকে পড়ে মারা যায় বলে জানায় বিবিসি। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের। 

সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২১ মিনিটে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপ কেঁপে ওঠে। ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ছিল পর্বতবেষ্টিত সিয়ানজুর শহরের কাছে ভূপৃষ্ঠের মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে। 

ভূমিকম্পটি ৭৫ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমে দেশটির রাজধানী জাকার্তায়ও অনুভূত হয়। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬৮ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। 

তবে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার (বিএনপিবি) পক্ষ থেকে মঙ্গলবার দিনের শুরুতে নিহত ১০৩ এবং এখন পর্যন্ত ১৫১ জন নিখোঁজ থাকার খবর দেওয়া হয়েছে। তবে হতাহতের সংখ্যা বাড়বে বলেও জানানো হয়। 

ভূমিকম্পে ওয়েস্ট জাভা প্রদেশের সিয়ানজুড় শহরের কাছের কয়েকটি গ্রাম ভূমিধসে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। 

এমনই একটি গ্রাম চিবেরাম। সেখানে একটি পরিবার তাদের ধসে পড়া ঘরের নিচ থেকে তাদের বড় ছেলে ২৮ বছরের এক তরুণের মৃতদেহ টেনে বের করার চেষ্টা করছে। 

উদ্ধারকর্মীরা ধসে পড়া ঘরের ধ্বংসাবশেষ সরাতে প্রাণান্ত চেষ্টা করছেন। 

সেখানে দায়িত্বরত এক সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘‘ধসে পড়া দ্বিতীয় তলার ছাদের কংক্রিট ফুটো করে আমাদের লাশের কাছে পৌঁছাতে হবে। আমরা লাশ দেখতে পেয়েছি কিন্তু সেটি দ্বিতীয় তলার ছাদের নিচে পিষ্ট হয়ে আছে।” 

সোমবারের ভূমিকম্পে দুই হাজার দুইশর’ বেশি ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান স্থানীয় কর্মকর্তারা। ১৩ হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। 

ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো মঙ্গলবার প্রত্যন্ত দুর্গত অঞ্চল পরিদর্শন করেন।  

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ‘রিং অব ফায়ারে’ ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান হওয়ায় দেশটিতে নিয়মিত ভূমিকম্প হয়। 

Share if you like