আওয়ামী লীগে আস্থা রেখে মানুষ তিনবার ভোট দিয়েছে এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনেও ভোট দেবে বলে বিশ্বাস করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণভবনে শুক্রবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় তিনি বলেন, “যারা সন্ত্রাসী, খুনি, জনগণের অর্থ লুটপাটকারী, বোমা-গ্রেনেড হামলাকারী ও অর্থ পাচারকারী, জনগণ তাদের বিশ্বাস করে না, ভোটও দেবে না।
“আওয়ামী লীগের ওপরে মানুষের আস্থা রয়েছে বলেই তিনবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে; এবারও দেবে।”
বিএনপির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই, বিএনপি আজ আন্দোলন করতে পারছে৷ কিন্তু বিএনপির যারা খুনের সঙ্গে জড়িত, অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত, জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত, তাদের ধরতে হবে৷ তাদের কোনো ছাড় নেই।”
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের কেন্দ্রীয় সম্মেলন ও বিভিন্ন নীতি নির্ধারণে শুক্রবার আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে ওই বৈঠক হয়।
সভায় আগামী ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত হয়।
বৈশ্বিক সংকটের কারণে এবারের সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকতায় ব্যয় কমানোর কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “খরচ কমানোর জন্য আয়োজন হবে সাদামাটা।”
প্রতিবার আওয়ামী লীগের সম্মেলন দুদিনব্যাপী হলেও এবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক দিনেই সব সারা হবে। সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, বিকালে কাউন্সিল অধিবেশন এবং সন্ধ্যায় হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
দেশের বৃহৎ এই রাজনৈতিক দরের ২১তম জাতীয় সম্মেলন হয়েছিল ২০১৯ সালের ২১ ডিসেম্বর। সেই সম্মেলনে সভাপতি পদে শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদের পুননির্বাচিত হন।
সম্মেলনের আগে আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দলের সভাপতি শেখ হাসিনাও চট্টগ্রামের পলো গ্রাউন্ডে ওই সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।