কার্যক্রম পরিচালনার আইনি ভিত্তি না থাকায় আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন- ইউজিসি।
কমিশন মনে করছে, বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমে দেশের উচ্চশিক্ষা সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হচ্ছে। এ সংক্রান্ত একটি তদন্ত প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ইউজিসি। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ জানান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টি সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদের মধ্যে সনদপত্রের জন্য আবেদন করেনি। সনদপত্র প্রাপ্তির জন্য আইনের শর্ত পূরণেও ব্যর্থ হয়েছে।
“২০০৬ সালের পর থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে চ্যান্সেলরের নিয়োগ দেওয়া ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই। এ ছাড়া সকল কারিকুলাম মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় এসব একাডেমিক প্রোগ্রামও বৈধতা হারিয়েছে।”
২০০২ সালের ১৯ অগাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে উচ্চ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার সাময়িক অনুমতি পায়। কিন্তু সাময়িক অনুমতির শর্ত ও গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০০৬ সালে সরকার সেটি বন্ধ ঘোষণা করে।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করে সরকারের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের দাবিদার তিনটি পক্ষ বিভিন্ন ঠিকানায় কার্যক্রম চালাচ্ছে।
বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, “আইন অনুযায়ী বৈধ সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়টির একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, ভর্তি, পরীক্ষা ও ফলাফল এবং একাডেমিক সনদের আইনগত কোন বৈধতা নেই।”