বিশ্বকাপ ফুটবলের এবারের আসর কাতারে বসলেও বরাবরের মতোই ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ ঘিরে মাতামাতি বিশ্বজুড়ে; আর বাংলাদেশও তার বাইরে নয়।
বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের এক বছর আগে জমে উঠেছে রাজনীতির মাঠ; তাতে ‘খেলা হবে’ শব্দবন্ধ ছড়াচ্ছে উত্তাপ; তার মধ্যেই এল বিশ্বকাপ। রাজনীতি উত্তাপের মধ্যে রাজনীতিকরা সময় বের নিচ্ছেন ফুটবলে মেতে ওঠার জন্য।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, তিনি ব্রাজিলের সঙ্গে লাতিন আমেরিকার আরেক দেশ আর্জেন্টিনাকেও সমর্থন করেন।
তিনি বলেন, “আমি ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা দুই দলের সমর্থক। তবে ফ্রান্সের খেলাও আমার পছন্দ।”
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজেকে ‘ব্রাজিলের সাপোর্টার’ হিসেবে তুলে ধরে বলেন, তিনিসহ তার দুই মেয়েও নীল-হলুদ শিবিরের সমর্থক।
“আমার ফেভারিট খেলা ফুটবল ও ক্রিকেট। ফুটবলে আমি সব সময় ব্রাজিলের সাপোর্টার। আমরা দুই মেয়েও ব্রাজিলকে সমর্থন করেছে।”
“আপনি দেখবেন ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে ফুটবলের সম্পর্ক অবিচ্ছিন্ন। তারা চোখের পলকে পাল্টে দিতে পারে খেলার গতিপথ,” বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান ব্যস্ততার মধ্যেও খেলা দেখার সময় বের করবেন বলে জানালেন।
রাজনীতিতে একই দলে থাকলেও খেলার সময় দুজন থাকবেন দুই শিবিরে। নানক ব্রাজিলের সমর্থক, আর রহমান আর্জেন্টিনার।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের প্রিয় দল আর্জেন্টিনা। ছাত্রজীবনে খেলোয়াড় হিসেবে নাম কুড়ানো জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ব্রাজিলের সমর্থক।
ইনুর ভাষায়, “ব্রাজিলের খেলার পাস থেকে শুরু খেলোয়াড়দের খেলার ধরনই আলাদা। তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল একটি দেশ যেভাবে মাঠে গায়ের জোর না দেখিয়ে, মাথার বুদ্ধি দিয়ে খেলে, সেটা এক কথায় নান্দনিক খেলা।”