বিএনপিসহ বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দল কর্তৃক উত্থাপিত রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা নষ্ট রাজনীতি করে তারা রাষ্ট্র মেরামত করতে পারে না।
‘বিএনপি জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে’ শুক্রবার রাজধানীর শ্যামলী স্কয়ার প্রাঙ্গণে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। খবর বাসস ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
সারা দেশে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা সতর্ক আছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ সমাবেশে বলেন, "আমরা কোনো ধরনের সহিংসতায় জড়াব না। তবে আঘাত করা হলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।"
বিএনপিকে স্বাধীনতাবিরোধী আখ্যা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, জঙ্গিবাদ রুখতে হবে, স্বাধীনতা বিরোধীদের রুখতে হবে। হাওয়া ভবনের লুটেরাদের রুখতে হবে।
“তারা (বিএনপি) বলে রাষ্ট্র মেরামত করবে। বিএনপি এই রাষ্ট্রকে ধ্বংস করেছে। এই রাষ্ট্রের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করেছে তারা। এই রাষ্ট্রে অর্থপাচার করেছে বিএনপি।”
বিএনপি দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, তারা নষ্ট রাজনীতি করে। যারা নষ্ট রাজনীতি করে তারা রাষ্ট্র মেরামত করতে পারে না। ধ্বংস করতে পারে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুক্তির জন্য ৬০ ‘শুভাকাঙ্ক্ষীর’ দেওয়া বিবৃতির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আজ বিএনপি বুদ্ধিজীবীদের মাধ্যমে ফখরুল ইসলাম আলমগীরে মুক্তি চায়, ভালো। ফখরুল ইসলাম তাদের বন্ধু। তাদের শুভাকাঙ্খী। তিনি অসুস্থ আমরা জানি না।”
“বুদ্ধিজীবীরা বিবৃতি দিয়ে বলছেন, ফখরুল ইসলাম নাকি অসুস্থ। এ বাংলাদেশে যখন ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছিল, তখন কী আপনারা বিবৃতি দিয়েছিলেন? বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সময় আপনাদের মুখের ভাষাকোথায় ছিল? আমি জানতে চাই কোথায় ছিল প্রতিবাদ, জাতীয় চার নেতাকে জেলখানায় হত্যা করা হলো, কোথায় ছিল আপনাদের প্রতিবাদ? আহসানউল্লাহ মাস্টারকে যখন প্রকাশ্যে হত্যা করা হয় তখন কী প্রতিবাদ করেছিলেন?”
দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, সহ সভাপতি সাদেক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।