Loading...
The Financial Express

আদালতে পুলিশের জন্য হেলমেট-জ্যাকেট, আসামিদের জন্য ফের ডাণ্ডাবেড়ি


আদালতে পুলিশের জন্য হেলমেট-জ্যাকেট, আসামিদের জন্য ফের ডাণ্ডাবেড়ি

পুলিশের দিকে স্প্রে ছিটিয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার পর আদালতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের জন্য ৩০টি হেলমেট এবং ৩০টি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট দেওয়া হয়েছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

আদালত ভবনের প্রত্যেক ফ্লোরে পুরোনো ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা সংস্কারের পাশাপাশি নতুন ক্যামেরা বসানোর কাজেও হাত দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পুলিশের অনুরোধে কারাগার থেকে জঙ্গি ও চাঞ্চল্যকর মামলার আসামিদের আদালতে পাঠানো হচ্ছে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার জসিম উদ্দিন বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রোববার আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনার পর সোমবারই আদালতের হাজতখানায় হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট সরবরাহ করা হয়েছে পুলিশ সদস্যদের জন্য।

এখন থেকে জঙ্গিসহ চাঞ্চল্যকর মামলার আসামিদের হাজতখানা থেকে এজলাস কক্ষে আনা নেওয়ার সময় পুলিশ সদস্যরা এসব নিরাপত্তা সামগ্রী ব্যবহার করবেন বলে জানান ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল হাকিম।

পুলিশের ওপর স্প্রে ছিটিয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় গত রোববার

আদালতে সিসি ক্যামেরা নিয়েও কাজ চলছে জানিয়ে উপ-কমিশনার জসিম উদ্দিন বলেন, “সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইবুনালের এজলাস কক্ষে সিসি ক্যামেরা বসানো যায় কিনা সে বিষয়েও কথা হচ্ছে। বিচারক   নির্দেশ দিলে গণপূর্ত্ বিভাগের সঙ্গে আলাপ করে সেটা করা যাবে। আদালতই বিষয়টি দেখবেন।”

এই সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালেই রোববার মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলার আসামিদের হাজিরার তারিখ ছিল। হাজিরা শেষে তাদের হাজতখানায় নেওয়ার পথে পুলিশের ওপর কোনো রাসায়নিক স্প্রে ছিটিয়ে দুজনকে ছিনিয়ে নিয়ে মোটর সাইকেলে করে চলে যায় তাদের সহযোগীরা।

ওই দুই জঙ্গি হলেন প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান এবং আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব। তারা দুজনেই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের (আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) নেতা।

ঘটনা তদন্তে ঢাকা মহানগর পুলিশ এবং পুলিশ সদরদপ্তর দুটি তদন্ত কমিটি করেছে। ‘রেড অ্যালার্ট’ জারির পাশাপাশি দুই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে ঘোষণা করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা করে পুরস্কার।

সারা দেশে আদালত ও কারাগারগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করার ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। কারা কর্তৃপক্ষ এখন আবার জঙ্গি ও চাঞ্চল্যকর মামলার আসামিদের ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে পাঠানো শুরু করেছে।

প্রসিকিউশন পুলিশের উপ-কমিশনার জসিম উদ্দিন বলেন, “পিলখনা মামলায় ২৭ আসামিকে ও দুই জঙ্গী আসামিকে আজ ঢাকার বিভিন্ন আদালতে আনা হয়েছে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে।”

Share if you like

Filter By Topic