আওয়ামী লীগের শাসনে দেশে গণতন্ত্র হারিয়ে গেছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তা ফিরে আনার লড়াই করছে তার দল।
সোমবার ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
ফখরুল বলেন, “আজকে আমরা একটা যুদ্ধে, যুদ্ধে এজন্যই যেটা আমাদের সব কিছুকে ফিরে পাওয়ার লড়াই। আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে ফিরে পাওয়ার লড়াই, আমাদের গণতন্ত্রকে ফিরে পাওয়ার লড়াই, আমাদের অস্তিত্বকে ফিরে পাওয়ার লড়াই আমরা আবার শুরু করেছি।
আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় গেছে, তখনই দুর্নীতিতে দেশ ছেয়ে গেছে বলে দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।
“১৯৭২ সাল থেকে তারা শুরু করেছে। এটা বললে পরে তাদের গায়ে জ্বালা করে, উত্তর দেয় না কোনো। তখনও একই ঘটনা ঘটেছিলো- তখনও দুর্নীতি, চুরি-ডাকাতি, এমনকি বাচ্চাদের জন্য দুধ এসেছিল বিদেশ থেকে, সেই দুধ পর্যন্ত চুরি করেছে, কম্বল চুরি করেছে।
“আজকেও একই অবস্থা তৈরি করেছে। যেদিকে তাকান, চুরি ছাড়া এখানে কিচ্ছু হয় না। যত মেগা প্রজেক্ট দেখেন, সবের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে চুরি। এভাবে গোটা দেশকে তারা ধবংস করে দিয়েছে।”
বিদ্যুৎ খাত নিয়ে ফখরুল বলেন, “এতদিন ওরা (সরকার) কত লম্বা লম্বা কথা বলেছে যে, একশভাগ বিদ্যুত দিয়ে দিয়েছি, ২৫ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন করছি। প্রয়োজন ১৫ হাজার মেগাওয়াট, আরও ১০ হাজার মেগাওয়াট থাকে। অথচ এই কিছুক্ষণ আগে দেখলেন না, লোড শেডিং, বিদ্যুৎ চলে গেল। এই হচ্ছে তাদের উন্নয়ন!”
জনগণের ভোট পাবে না আঁচ করে আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করেছে বলেও দাবি করেন ফখরুল।
“এরা২০০৯ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত আসতেই দেখেছে যে এত খারাপ কাজ করতে শুরু করেছে, এখন তো আর জনগণ ভোট দেবে না। তখন তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানটাই বাতিল করে দিল। সেই কাজে সাহায্য করলো বিচারপতি খায়রুল হক।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৯৯৫ সালে আওয়ামী লীগের আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “ওই সময়ে আওয়ামী লীগ ১৭৩ দিন হরতাল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছে। তাদের সঙ্গে সেদিন কিন্তু জাতীয় পার্টিও ছিল, জামায়াতে ইসলামীও ছিল।”